শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


সিরিয়ার ধ্বংস্তুপে মাজলুম মুসলমানের ইফতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিরিয়ার অবরুদ্ধ শহর দৌমার বাসিন্দারা ধ্বংসস্তুপের মাঝে একসাথে ইফতার করছে এমন কিছু ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে যাওয়ার পর ব্যাপক শেয়ার হচ্ছে। হচ্ছে আলোচনা সমালোচন। ফুটে উঠছে সিরিয়ার মুসলমানদের চরম অসহায়ত্বের চিত্র।

রাজধানী দামেস্কের কাছেই অবস্থিত দৌমা এলাকা, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এই এলাকার বেশিরভাগই এখন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। ধ্বংসস্তুপের মাঝেই সেখানকার বাসিন্দারা আয়োজন করছে একসাথে ইফতারিরব্যবস্থা।

সিরিয়ান আদালেহ ফাউন্ডেশন রোজাদারদের জন্য এরকম ইফতারের আয়োজন করেছেন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রতি পূর্বাঞ্চলীয় ঘৌটা এলাকায় সহায়তা দেবার লক্ষ্যেই এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে তাদের কার্যক্রম শুরু করে রমজানের শেষ দশ দিন এই প্রতিষ্ঠানটি দৌমার বাসিন্দাদের মাঝে খাবার সরবরাহ করবে।

আদালেহ ফাউন্ডেশন এর এক কর্মকর্তা  বলছিলেন, "বিমান হামলার ভয়ে আমরা সাধারণত এ ধরনের আয়োজন করি না। কিন্তু সাম্প্রতিক চুক্তির সুবিধাটা আমরা নিচ্ছি" -

প্রায় চার বছর ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে দৌমা এলাকা। চলমান অবরোধ-সংঘর্ষের জেরে সেখানে খাদ্যের দাম অনেক চড়া। ইফতারির জন্য যে খাবার দৌমায় সরবরাহ দেয়া হয় সেটি তৈরি করা হয় পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা ঘৌটায়।

২০১৬ সালের অক্টোবরের পর গত মাসে প্রথমবারের মতো একটি সাহায্য সংস্থা দৌমায় প্রবেশ করতে পারে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এই এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে জায়েশ-আল-ইসলাম, আর গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকাকে লক্ষ্য করে সিরিয়া সরকারি বাহিনী অনবরত বিমান ও বোমা হামলা চালিয়ে আসছে।

শহরের প্রায় একশোর মতো বাসিন্দা একসাথে ইফতার গ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে একজন বলছেন "বিমান হামলার ভয়ে আমরা মসজিদে লুকিয়ে ইফতার করেছি অনেক সময়"।

সিরিয়ার একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট টুইটারে ছবিগুলো পোস্ট করে লিখেছেন "দৌমায় মৃত্যুর পরিবর্তে আজ জীবনের ছোঁয়া'।

ছবিগুলো অনলাইনে প্রকাশের পর হাজার হাজার মানুষ তা শেয়ার করছে ও নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।

আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী এই ইফতার এয়াজনকে 'ইফতার অব হিরোজ' বলে বর্ণনা করছে ।

আরেকজন লিখেছেন, অনেক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে এই মানুষগুলো মানুষের জন্য কাজ করছে এবং অন্যদের জন্যও উদাহরণ তৈরি করছে।

অনলাইনে  ছবিগুলো প্রকাশের পর থেকেই হাজার হাজার মানুষ এগুলো শেয়ার করছেন ও নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করছেন।

ছবিগুলো শেয়ার করে রোজাদারদের সুস্বাস্থ্যও কামনা করেছেন সিরিয়ার নামকরা কজন সাংবাদিকসহ আরো অনেকেই।

অনেক ব্যবহারকারী এটাও বলেছেন যে ছবিগুলোতে যে শিশুদের দেখা যাচ্ছে তারা সবাই যুদ্ধে পরিবার-পরিজন হারানো এতিম।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ