শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির ‘রূপকল্প ২০৩০’ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন এবং নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়ে আসছে বিএনপির ‘রূপকল্প বা ভিশন ২০৩০’।

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করাসহ বেশ কিছু উন্নয়ন দর্শনের কথাও তুলে ধরা হবে এই ঘোষণায়।

এরই মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রূপকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। সোমবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তা অনুমোদন করে দলের স্থায়ী কমিটি আজ বুধবার দলের পক্ষ থেকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে  ঘোষণা করা হবে।

[caption id="" align="alignnone" width="745"] রুপকল্পে যা থাকছে[/caption]

গত বছর বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষণা করেছিলেন দেশকে উন্নয়নের সোপানে নিতে ‘রূপকল্প ২০৩০-এর কথা। তবে নেতারা বলছেন, শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত হামলা মামলায় কোণঠাসা আর দল গোছানোতে ব্যস্ত থাকায় রূপকল্প তুলে ধরতে লেগে গেল বছরখানেক সময়। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম এবং বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত নিয়ে অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে ‘রূপকল্প ২০৩০।’

এ ব্যাপারে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সার্বিক বিষয় নিয়ে বিএনপির চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা, তা জনগণের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার। সে জন্য ভিশন ২০৩০ তৈরি করা হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা, সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, গণভোট প্রথা চালু, নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক ও আধা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হয়েছে এই রূপকল্পটি।

এতে মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারে সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা এবং সব ধর্মবিশ্বাসী মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির অবস্থান নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি থাকবে।

এ ছাড়া প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়নে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও সমর সম্ভার যুগোপযোগী করা, তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষসাধন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য, বেকারত্ব দূর করাসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা থাকছে এই রূপকল্প ২০৩০-এ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেছেন, ‘একটি ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করা। ফ্রিডম ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট, যেটা অমর্ত্য সেন বলেছেন। আগে অধিকার, তারপর উন্নয়ন। মানুষের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন হবে। সেটাই বাংলাদেশের মানুষের কাম্য। এটা খালেদা জিয়া নিশ্চিত করতে চান।’

[রাষ্ট্রের দুটি অঙ্গ ব্যর্থ হলে বিচার বিভাগ নীরব থাকতে পারে না: এস কে সিনহা]

[‘বিএনপির নীলনকশা জনগণ বাস্তবায়ন করতে দিবে না’]

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ