শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


বেফাকভুক্ত হলো যাত্রাবাড়ী মাদরাসা, কমিটিতে আসছেন আল্লামা মাহমদুল হাসান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jatrabari_madrasha_hasan

আওয়ার ইসলাম: দেশের প্রাচীনতম দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার যাত্রাবাড়ী জামিয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া আজ সকাল ১১টায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-বেফাক) এর এলহাকি ফরম পূরণ করে নিবন্ধিত হয়েছে।

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নির্দেশ ও পরামর্শে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ও যুগ্ম সহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। একটি বিশ্বস্ত সূত্র আওয়ার ইসলামকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দেশের প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় শিক্ষাবোর্ড বেফাকের ইতিহাসে যুগ হলো নতুন একটি পালক। বেফাকের সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পরামর্শে যাত্রাবাড়ী মাদরাসাকে বেফাকভুক্ত করে আলেমদের ঐক্যকে সুসংহত করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

সূত্র জানিয়েছে, যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মাহমুদুল হাসান এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেফাকের নির্বাহী কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতে পারেন।  থাকছেন কওমি সনদের স্বীকৃতির চলমান অথোরিটি কমিটিতেও। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কাজের কৌশল হিসেবেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান বেফাকের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফী দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ আলেম, তার যে কোনো পরামর্শ পালন করা আমি সৌভাগ্য মনে করি। যাত্রাবাড়ী মাদরাসা দেওবন্দি চিন্তা চেতনা ও আকাবিরের আমানতের জিম্মাদারী পালন করে যাচ্ছে। তালিম তরবিয়ত মানসা ও মাজহাব সবই দেওবন্দি চিন্তায় গঠিত ও পরিচালিত। সুতরাং বৃহত্তম স্বার্থে বেফাকভুক্ত হওয়ার পরামর্শকে ইতিহাবাচক মনে হয়েছে।

তিনি বলেন, হজরত আহমদ শফী দা বা. পরামর্শে ও নেতৃত্বে কওমি মাদরাসা দেওবন্দের ৮ মূলনীতি ঠিক রেখে এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি এবং কওমি মাদরাসায় সরকারের কোনো রকম হস্তক্ষেপও আমি আশা করি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেফাকের অফিসিয়াল সূত্র আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফরম পূরণ করে যাত্রাবাড়ী মাদরাসাকে বেফাকভুক্ত করা হয়েছে। বেফাকের নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিবর্গরা েএকাধিকবার যাত্রাবাড়ী মাদরাসা বিষয়য়ে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করে উক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সুকৌশলী নেতৃত্ব ও আল্লামা মাহমুদুল হাসানের জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যের এই উদারনীতিকে ইতিবাচক বলেই মনে করছে কওমি মাদরাসা সংশ্লিষ্ট অনেকে।

আরআর

আবার ভাঙল খেলাফত আন্দোলন! নেপথ্যে কী?

পাকিস্তান জমিয়তের শতবর্ষ সম্মেলনে যা বললেন আল্লামা তাকি উসমানি

কওমি মাদরাসা মানুষকে তাকওয়ার পথ দেখায়: আল্লামা মাহমুদুল হাসান

Nahbemir jamat

বেফাক পরীক্ষার্থী পড়ুন: বুঝতেও হবে, মুখস্থও করতে হবে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ