বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার আগামীদিনে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হবে দেশের হজ ব্যবস্থাপনা: ধর্মমন্ত্রী সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি চাঁদ মামার বয়স হয়েছে! চাঁদের বয়স কত? বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ বাড়তে পারে তাপমাত্রা, দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে যে দোয়া ও আমল করতেন হযরত উসমান রা.

একজন গুণী মানুষের কথা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা ওযীরুল ইসলাম মাসউদ

nejam_uddinএক জন শায়খুল হাদীস আল্লামা নেজাম উদ্দীন রহ.। আজ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আজকের এই দিনেই আসর-মাগরিবের মধ্যবর্তী মুবারক মুহূর্তে শায়খুল হাদীস আল্লামা নেজাম উদ্দীন রহ. ইহকাল ত্যাগ করে মহান মাওলার সান্নিধ্যে গমণ করেন।

হযরত ছিলেন পরিচ্ছন্ন মননের একজন অকৃত্রিম বড় মানুষ। বেশভূষামুক্ত, আলখাল্লাবিহীন, নিরহংকারী মানুষ। যার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিলো দ্বীন ও মানবতার কল্যাণে। প্রতিটি কথা ও কাজ ছিলো উদারতা, মমতা ও বিচক্ষণতায় ঘেরা। উস্তায, শাগরিদ, সহকর্মী, জনসাধারণ সবার প্রতি ছিলো উদারতাপূর্ণ আত্নিক মহব্বত। এমন এক বড় মানব, যার কাছ ভিড়তে পারতেন সবাই।

হযরতের সাথে বসা মানে বুদ্ধিদীপ্ত খোশগল্পে মেতে ওঠা। অতি সহজেই যে কাউকেই আপন করে নিতে পারতেন তিনি। শায়খুল হাদীস, রাজনীতিবিদ , সামাজিক ব্যক্তিত্ব, গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব- এসবগুলো গুণেই হযরত ছিলেন পূর্ণ গুণান্বিত।

তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত আমীর এবং আমৃত্যু বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমৃত্যু বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দায়িত্ব পালন সত্ত্বেও ইসলামপন্থী এবং কল্যাণমুখী সকল রাজনৈতিক দলের সাথে তার ছিলো উদার উঠা-বসা। আল্লাহর যমীনে আল্লাহর রাজ কায়েমে, খেলাফত প্রতিষ্ঠায় জীবনভর যিনি আন্দলনে-সংগ্রাম করেছেন, তার মৃত্যু ও হয়েছে খেলাফতের স্টেজে, খেলাফতের পথে, আল্লাহর মাহবুব উলামায়ে কেরামের কোলে মাথা রেখে-সুবহানাল্লাহ!

মাওলার সাথে বান্দার আত্নিক সম্পর্ক কতটুকু গভীর হলে, হক্বুল ইবাদে একজন মানুষ কতটুকু পরিচ্ছন্ন হলে এমন সৌভাগ্যপূর্ণ মৃত্যুর অধিকারী হতে পারেন, তা মহান আল্লাহই ভালো জানেন। মত্যুকালে হযরতের বয়স ও ছিলো নবীজি স: এর ওফাতের বয়স অনুপাতে ৬৩ বৎসর বয়সে।

হযরত ৫ ছেলে এবং ২ মেয়ে রেখে গেছেন। হযরতের ছেলেগণ যথাক্রমে- হাফিজ মাওলানা শিহাবুদ্দীন সাকিব (ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ বাহুবল), হাফিজ মাওলানা নুরুদ্দীন রাগীব (মুহাদ্দিস, হামিদনগর মাদরাসা বাহুবল), হাফেজ মঈনুদ্দীন আরিফ, জামালুদ্দীন তারেক এবং বদরুদ্দীন নকীব।

হযরতের দুই মেয়ে যথাক্রমে আলেমা সাফওয়ানা নাহিদা ও আলেমা সায়িমা নাবিলা। মৃত্যুকালে হযরত দুই ভাই রেখে গেছেন। হযরতের বড় ভাই জনাব মাওলানা জালালুদ্দীন এবং ছোট ভাই জনাব আলহাজ্ব শরীফ উদ্দীন।

মহান রাব্বুল আলামীন শায়খুল হাদীস আল্লামা নেজাম উদ্দীন রহ. কে জান্নাতের উচ্চ মাক্বাম দান করুন এবং হযরতের জীবিত পরিবার-পরিজনকে এবং আমাদেরকে সবরে জামীলের সাথে দ্বীনের পথে, মাওলার রেজামন্দীতে কাজ করার তাওফীক্ব দান করুন-আমীন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ