শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


কারী উবায়দুল্লাহ’র অবদানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও বঙ্গবন্ধুর দেয়া বাড়ি ফিরিয়ে দেয়ার আহবান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

risalatul_insaniaআওয়ার ইসলাম: রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশ বিশ্বনন্দিত কারী উবায়দুল্লাহ গত মঙ্গলবার ইন্তেকাল করেছেন।

তাঁর ইন্তেকালে অরাজনৈতিক আধ্যাত্মিক সংগঠন-রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশ-এর আমীর মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী গভীর প্রকাশ করে বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে যার কণ্ঠে প্রথম পবিত্র কুরআনের সুর বেজে উঠেছিলো, যার সুললিত কন্ঠে তেলাওয়াত শুনতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি হলেন কারী উবায়দুল্লাহ রহ.।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই ক্বারী ১৯৬২ সাল থেকে ২০০৬ সালে অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী চকবাজার শাহী মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করতেন কারী উবায়দুল্লাহ।

তার রেকর্ড করা আজান দীর্ঘদিন প্রচারিত হয়েছে সরকারি এ দুটি চ্যানেলে। ক্বারী উবায়দুল্লাহর তিলাওয়াতের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে বিটিভি উদ্বোধন হয়েছিলো। বাংলাদেশ পার্লামেন্টের সেই উদ্বোধনী অধিবেশন থেকে ৯ম পার্লামেন্ট পর্যন্ত আমাদের জাতীয় সংসদসহ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানসমূহকে কুরআনের মধুর তিলাওয়াতে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন তিনি।

কারী উবায়দুল্লাহ সৌদি আরব, কাতার, দুবাই, লিবিয়া, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্তত ২০-২৫টি দেশে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বারবার প্রথমস্থান অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনেন বিরল মর্যাদা। সৌদি বাদশাহ ফয়সাল ও খালেদ দুইবার তাকে কুরআনের শিল্পী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, কারী উবায়দুল্লাহর সমধুর তিলাওয়াত বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকেও প্রায় জুমাবার টেনে নিয়ে আসত চকবাজার শাহী মসজিদে। নামাজের পর বঙ্গবন্ধু কারী উবায়দুল্লাহর বুকে বুক লাগিয়ে কারীকে সম্মান করতেন এবং নিজেও সম্মানিত হতেন। বন্ধবন্ধু এই কারীর উপর খুশি হয়ে চকবাজারে চার কাঠা জায়গার উপর একটি বাড়ী বরাদ্দ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রভাবশালী মহল সেটা দখল করে নেয়। শেষ জীবনে কারী অবর্ণনীয় কষ্ট করেছেন।

দীর্ঘ ৯টি বছর বিছানাগত ছিলেন। দুই স্ত্রী ও ছেলে সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার তার বাবার প্রিয় মানুষটির কোনো খোঁজখবর নেয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশ-এর আমীর মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী কারী উবায়দুল্লাহর অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত ও বঙ্গবন্ধুর দেয়া বাড়ীটি ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।–প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আরআর

আরো ৬ দলকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ; আছে দুই ইসলামি দল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ