বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার না থাকা দেশের তালিকায় বাংলাদেশ চতুর্থ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

toielet-in-bdআওয়ার ইসলাম: দ্রত নগরায়ণ ঠিকঠাক বেড়ে চললেও  স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার হয়নি এমন শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ আছে চতুর্থ স্থানে।  এ তালিকায় সবার আগে আছে নাইজেরিয়া। দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছে ভারত। শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ ভারত এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

গেলো শনিবার বিশ্ব শৌচাগার দিবস উপলক্ষে ওয়াটার এইড  প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে । ‘ওভারফ্লোয়িং সিটিস: দ্য স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ড টয়লেটস ২০১৬’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে বসবাসকারী ২ কোটি ৩২ লাখেরও  বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার পায় না।

এতে আরো বলা হয়, শহরাঞ্চলে নিরাপদ শৌচাগার নেই-বিশ্বের এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের ৪২ ভাগ মানুষেরই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নেই।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে নগরায়ণের হার ব্যাপক। তবে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ক্ষেত্রে দেশটি এখনো যথেষ্ঠ পিছিয়ে। শহর অঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার কম—এমন দেশগুলোর তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে আছে ভারত।

ওয়াটার এইডের এই প্রতিবেদনে আছে, ২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে দেড় কোটি মানুষ শহরে এসেছে। এর মধ্যে ৮০ লাখ মানুষই স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহার করার সুযোগ পায় না।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত ৪০ বছরে ঢাকার জনসংখ্যা ৫ লাখ থেকে বেড়ে ১ কোটি ৭৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ঘাটতি থাকলেও শহরে কিন্তু উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার শূন্য।

প্রতিবেদন নিয়ে ওয়াটার এইডের বাংলাদেশের প্রধান খায়রুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি হলেও শহরাঞ্চলে একটি শৌচাগার একাধিক পরিবারকে ব্যবহার করতে হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটি স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের নমুনা নয়। তাই বাংলাদেশের অবস্থান এখনো নাজুক।

খায়রুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহার নিশ্চিত করাটা একটি বিষয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- মলত্যাগ করার পর তা কোথায় যাচ্ছে, সেই বিষয়টি। আমাদের পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় এগুলো আবার প্রকৃতিতে মিশছে, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ওয়াটার এইডের প্রতিবেদনে সরকারি সূত্র ব্যবহার করে বলা হয়, প্রতিবছর নিরাময়যোগ্য উদরাময় রোগে আক্রান্ত হয়ে চার হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। বাংলাদেশের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৩৬ শতাংশের উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম। পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের অভাব এই সমস্যার অন্যতম এক কারণ।

এবিআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ