শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের ছবি নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

facebook_masudআবিদ আনজুম: জমিয়তুল উলামা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের একটি ছবি নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একজন নারীর সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন।

কে কারা এই ছবি ছড়াল সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ছবিটি নিয়ে দুই ধরনের মন্তব্যই পাওয়া যাচ্ছে। ফেসবুকে কেউ কেউ লিখছেন ছবিটি এডিট করা এবং এ ধরনের ছবি তার থেকে হওয়া অসম্ভব। তবে বিপরীত মতও দিচ্ছেন অনেকে। তারা বলছেন যে নিখুতভাবে ছবিটি তোলা তাতে এডিট ফটো এমনটি বলার উপায় নেই।

কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে লিখছেন, তিনি যে ধরনের আলেম তার পক্ষে এমনটি অসম্ভব নয়।

তবে ছবিটি সম্পাদিত না বাস্তব সেটি নিশ্চিত না হয়ে এমন লেখালেখিকে বিজ্ঞজনরা মূর্খতার প্রচার হিসেবেই আখ্যা দিচ্ছেন। অনলাইন এক্টিভিস্ট মাওলানা আহমদ হোসাইন আওয়ার ইসলামকে বলেন, আজকাল প্রযুক্তি কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফটোশপে ফটো এডিট এরই একটি। কারো সাথে কারো দ্বন্দ্ব লাগলেই বা মনোমালিন্য হলেই ফটো এডিট করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এ মানসিকতা নির্লজ্জ এবং বর্জনীয়।

আহমদ হোসাইন বলেন, যার ফটো প্রচার করা হচ্ছে একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় এই কাজ তার দ্বারা এটি করা সম্ভব কিনা।

ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে নানাজনে নানা কথা বলছেন। কারো বক্তব্য ছবিটি ফটোশপের কারসাজি নয়। কেউ কেউ একে আবার জঘন্য মিথ্যাচার হিসেবে উল্লেখ করছেন।

সাব্বির রশীদ নামের একজন লিখেছেন, ফরীদ উদ্দীন মাসউদ! আপনি আবারও প্রমাণ করলেন আপনিই এদেশের যুুগ্য ও গ্রহণীয় আলেম!! বাকি সবাই অপদার্থ?

ওয়ালি উল্লাহ আরমান লিখেছেন, চমতৎকার একটা বর্ম রয়েছে অনেকের কাছে। যাচ্ছেতাই বক্তব্য দিয়ে বলে দাও আইডি হ্যাক। ছবির ব্যাপারে বলে দাও ফটোশপের কারসাজি।

আহমদ আবদুল্লাহ লিখেছেন,  ফটোশপ দিয়া আমাদের বজ্জাত টাইপের স্বভাবটা বদলাইয়া দে!! আর না হয় ক্রসফায়ারে দে! ফটোশপ তেলেসমাতি আর ভালা লাগে না...

সাঈদ কাদির লিখেছেন, শতবার শাহবাগে যাওয়ার চেয়ে একবারের ফটোশপ-মিথ্যাচার বেশি জঘন্য।

সাইফ রহমান লিখেছেন, যেভাবে ছবি দেখছি, আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এরকম করে ফটো তুলতে পারেন না। উনারও তো একটা ইজ্জত আছে, তিনি বড় মাপের আলেম। বাংলাদেশে দেওবন্দিদের মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য আলেম এবং সম্মানের পাত্র হলেন তিনি। তিনি নিজে একটা বেগানা মহিলার সাথে এভাবে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন, ব্যাপারটা কেমন যেন হাস্যকর মনে হচ্ছে!

বিষয়টি নিয়ে জমিয়তুল উলামার সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী বলেন, এ ধরনের ছবি তিনি কখনো তুলবেন এটা কল্পনা করাটাও অন্যায়। আমরা ছোট থেকেই হজরতকে চিনি জানি, তিনি তো একটা নারীর দিকে ফিরেও তাকান না, ছবিতো হাস্যকর। সুতরাং এটা চিহ্নিত একটা মহলের কাজ যারা বরাবরই হুজুরকে অসম্মান করে আসছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে।

জামিয়া আহলিয়া রামপুরা’র প্রিন্সিপাল মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ আওয়ার ইসলামকে বলেন, ফেসবুকে ছবিটি আমি কিছুক্ষণ আগে দেখেছি। এটি মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে নিয়ে একটা জঘন্য ও নোংরা কাজ। এ ধরনের নোংরা একটি গোষ্ঠি অনেক আগে থেকেই করে আসছে।

তিনি বলেন, ছবিতে তো ওই নারীর সঙ্গে হাত মেলাননি। পাশাপাশি দাঁড়ানো। এমন একটা ছবি তো মুহূর্তই ফটোশপে বানানো যায়। এটা যারা করেছেন তারা খুবই ছোট মানসিকতার লোক।

উল্লেখ্য, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এই মুহূর্তে ভারত সফরে থাকায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।

আরআর 

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ