বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


মসুল শহরের উপকণ্ঠে ঢুকেছে ইরাকি বাহিনী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

_92208550_619225182আওয়ার ইসলাম: ইরাকের মসুল শহরকে ইসলামিক স্টেটের দখল মুক্ত করার লড়াইয়ে সরকারি বাহিনী এই প্রথম শহরটির পূর্ব দিকের শহরতলীএলাকায় ঢুকেছে।

তবে ইরাকি সৈন্যদের সাথে থাকা একজন বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, আইএসের সাথে সেনাদের তীব্র লড়াই হচ্ছে। এবং তীব্র প্রতিরোধের মোকাবিলা করে এগুতে হচ্ছে সরকারি বাহিনীকে।

আইএস যোদ্ধারা রকেটচালিত গ্রেনেড, মর্টার, ছোট আগ্নেয়াস্ত্র এবং আত্মঘাতী গাড়ি-বোমা ব্যবহার করছে। মসুলে ৩ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত আই এস যোদ্ধা রয়েছে বলে মনে করা হয়।

অন্যদিকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন এর মধ্যে চার-পাঁচটি বিমান হামলা চালিয়ে ইরাকি বাহিনীর অগ্রাবিযানে সহায়তা দিচ্ছে।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি আইএসের প্রতি 'হয় আত্মসমর্পণ বা মৃত্যুবরণ করার' আহ্বান জানিয়েছেন। সামরিক পোশাক পরে একটি বিমানঘাঁটি সফর করার সময় মি. আল-আবাদি বলেন, সরকারি বাহিনী চার দিক থেকে মসুলের দিকে এগুচ্ছে, এবং তারা তার ভাষায় 'সাপের মাথা কাটবে'।

মসুল থেকে এখন আর লোকজনকে পালিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না। সংবাদদাতারা ধারণা করছেন শহরটিতে এখনো প্রায় ১০ লাখ লোক রয়েছে।

এর আগে সোমবার ইরাকি সেনারা মসুল শহরের এক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যায়। এখানে বাজওয়াইয়া নামের একটি গ্রাম ইরাকি সেনারা পুনর্দখল করার পর স্থানীয় লোকজন তাদের বাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। তারা জানায় তাদের ঘরে জমা খাবার-দাবার ও পানি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।

অনেকে তাদের দাড়ি কামিয়ে ফেলে, এবং 'দু বছর পর ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি পেয়ে' স্বস্তি প্রকাশ করে।

একজন ইরাকি কমান্ডার বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা মুক্তি এলাকাগুলোয় ঘরে ঘরে গিয়ে তল্লাশি করছেন যে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আইএস যোদ্ধারা লুকিয়ে আছে কিনা, এবং কোথাও তারা বোমা পেতে রেখেছে কিনা।

এই যুদ্ধে প্রায় ৫০ হাজার ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী অংশ নিচ্ছে - যার মধ্যে সেনাবাহিনী, কুর্দি পেশমার্গা এবং সুন্নি বিভিন্ন গোষ্ঠীর মিলিশিয়ারা রয়েছে।

এফএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ