বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

কওমী মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়ায় মোটা দাগের সমস্যা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মামুনুল হক

ain-copy

কওমী স্বীকৃতি নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের শিরোনাম জুড়েদিয়ে "কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন - ২০১৬"র খসড়া প্রকাশ করেছে সদ্য স্থগিত হওয়া যাচাই উপ কমিটি ৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এভাবে জাতীয় সংসদের শিরোনাম ব্যবহার করে আইনের খসড়া প্রচার করাটা কতটা আইনসম্মত? তবুও অনেকেই এই খসড়া বিষয়ে আমাদের অভিমত জানতে চাইছে বিধায় আমাদের তাৎখনিক বক্তব্য তুলে ধরলাম ৷

আইনী বিষয়ের জটিল ধারাগুলো বিশ্লেষন করে চূড়ান্ত কোনো মত ব্যক্ত করা একটি সময়স্বাপেক্ষ বিষয় ৷ তবে প্রাথমিক নজরে মনে হয়েছে আইনটির পূর্ববর্তী খসড়ার ফাঁক-ফোকর কিছুটা বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে ৷ এতে কেউ আশা করলেও করতে পারে যে, নিজেদের অবস্থান মজবুত রাখতে পারলে লক্ষে পৌছা সম্ভব ৷ তবে প্রকাশিত খসড়ায় মোটা দাগের বেশ কিছু সমস্যাও আছে যা কোনোভাবেই চোখ এড়িয়ে যাওয়ার মত নয় ৷

এক

ষোল জনের যে কর্তৃপক্ষের কথা বলা হয়েছে, তাতে ৮(সদস্য)+১(চেয়ারম্যান)+১(সচিব)+১(মহিলা মাদরাসার)=১১ জন সদস্যের কথা বলা হয়েছে নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন ৷ আর নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫ এর খ (১) উপ ধারায় ৮ সদস্য সম্পর্কে বলা হয়েছে অনুমোদিত বোর্ড সমূহের সুপারিশের আলোকে ৷ মহিলা মাদরাসার প্রতিনিধি ১জন কীভাবে নিয়োগ হবেন সে ব্যপারে কিছুই বলা হয় নি ৷ আর ১ জন সচিব নিয়োগ হবেন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৷

স্পষ্টতই বোঝা যায় চেয়ারম্যান নিয়োগ দিবে সরকার ৷ ৮ সদস্যের সুপারিশের দায়িত্ব বোর্ডের থাকলেও নিয়োগ দিবে সরকার ৷ মহিলা মাদরাসার সদস্যও স্বাভাবিকভাবেই সরকারই নিয়োগ দিবে ৷ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত এই দশজন আর উল্লেখযোগ্য পাঁচ বোর্ডের পদাধিকার বলে পদ পাওয়া পাঁচজন ১০+৫= ১৫জনের সিদ্ধান্তে একজন সচিব নিয়োগ হবে ৷ তাহলে ঐ দশজনের মতে সচিব নিয়োগ হলে সেও হবে তাদেরই একজন ৷ ষোল সদস্যের কর্তৃপক্ষে এই হল এগারজন ৷

দুই

যে সকল বোর্ডের সুপারিশে ৮সদস্য নিয়োগ হবে তাদেরকে হতে হবে ২(ছ) "এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডসমূহ" ৷

তিন

পাঁচ বোর্ডের পদাধিকার বলে যে পাঁচজন থাকবেন তাদের মধ্যে বেফাকের মাত্র একজন ৷ আর বাকি চারজন ঐ চার বোর্ডের ৷ এতে মাদরাসাসমূহের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব হবে না ৷ যেখানে ঐ চার বোর্ডের অন্তত দুই বোর্ডেরই অধীন মাদরাসার সংখ্যা পাঁচ ছয়শর বেশি না ৷

মোটা দাগে আমার কাছে এই বিষয়গুলোকে সমস্যাপূর্ণ মনে হয়েছে শুধু কর্তৃপক্ষ গঠনের ক্ষেত্রেই ৷
আসলে আমাদের মুরব্বীরা একসাথে বসে সকলে মিলে নিজেদের মত করে একটা প্রতিষ্ঠান গঠন করে তার মাধ্যমে স্বীকৃতি নিলেই সেটা নিরাপদ হবে বলে আমি মনে করি ৷

এফএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ