মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


মোল্লা নোমান-এর কবিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

molla-noman

আরজু

গিয়াসউদ্দিনে এশা পড়লুম। গিয়াসউদ্দিন; একটা আবাসিক এলাকার নাম। ওই এলাকার মসজিদ।

মসজিদটা মূসা-খাঁ'র চে' কিছু-অল্প বড়।
বেশ একটা ভাল লাগা আছে, অন্য মাসাজিদের তুলনায় বেশি!

ঢুকলেই বুঝা যায়, একটা থির থির ভাব আছে_
জুড়িয়ে সুরিয়ে যাবার মত!
আশ্রয়ের মত!

দক্ষীণে, মসজিদ-লাগোয়া সীমাহীন-সবুজ একটি কামিনী গাছ।
ওজু সেরে উঠতেই চোখ লাগলো!
বাড়িতেও আমার কামিনী আছে।
উত্তর জানালায়!

সে-সবুজ মায়ের আঁচলের মত।
আর এ-সবুজ, মদিনার গম্বুজে খাযরার (সবুজ গম্বুজ) মত!
গায়ে এখনো জল-রূপালি কাটেনি।
বৃষ্টি এসছিল, তাই!
মসজিদ থেকে বেরিয়ে আবারো দেখলুম।
অবুঝ সবুজে বিস্তৃত!
কী বিমল!
কী ঝলমল!
আহ্! যদি একবার নসিব হতো, ওই সবুজ দেখার!
আমিও হাত বাড়িয়ে
গেয়ে উঠতুম, ‘এয়াবামুরা এয়া নায়া বাম, জুছতো জূয়ি মি কুনাম।
হাসেল আয়াদ ইয়া নায়ায়াদ আরজুয়ে মি কুনাম।’

নতুন মসজিদে গেলে, আমার একটা বাতিক আছে!
নামাজে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত ইমাম সাহেবকে মনে মনে পরখ করার।
চেহারা দেখে মিলাতে থাকি, তেলাওতটা কেমন হবে!
মন মত হবে তো!
আশ মিটবে তো!

আজো ওই মানের একটা শুদ্ধ তেলাওত ছিল।
আশ মেটেনি।
এত ভাল, এত অল্পে চলেনা!
খুব গেঁথে গেঁথে তেলাওত করলেন।

সূরা ত্বহা'র বর্ণনা, ‘মুসা, আপনার ডান হাতে ওটা কী?
মুসা বললেন, লাঠি।
এর 'পর ভর করে আমি চলি।
এবং আমার বকরিগুলোর পাতা পাড়ি।
এছাড়াও এতে আমার বিবিধ প্রয়োজন রয়েছে।’

কিছুদূর পরেই আদেশ করা হল, ‘তুমি যাও, ফিরাওনের কাছে।
নিশ্চয় সে সীমালঙ্ঘন করেছে!’
পরের আলোচনা কতদূর গিয়ে ইমাম থেমেছেন জানিনে!

আমি কেনো যেনো এসব ছাঁপিয়ে আজ অন্যকিছুতে মেতেছিলুম!
হজরতের কণ্ঠে আমি এ সুরার্জিই শুনছিলুম, ‘সাহেল ছে লাগা দে মুঝে এশকো কা সাফিনা।
আখো ছে দেখা দে মুঝে মক্কা ও মাদিনা।’

নামাজান্তে আবেগাপ্লুত হলুম।
হাত তুলতেই দু'চোখে আদ্রতা ঠাহর হল।
এমন হয়না অনেক দিন। মন ভরে চাইলুম, ‘আর কিছু দাও না দাও, অন্তত এমন সবুজের পাশেই শুইয়ে তো দিও!’

আরআর

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ