শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


ইহরামের শুভ্রতা জীবনে আনুক তাকওয়ার নিস্পাপ অনুভূতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ

বছরঘুরে অাবারো অামাদের সামনে হাজির মাহে জিলহজ। লাব্বাইক অাল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনি তুলে অাবারো সময় হল কাবার পথে রওয়ানার। যারা বাইতুল্লাহর মুসাফির তারা আল্লাহর মেহমান। তারা যদি আল্লাহকে ডাকেন আল্লাহ তাদের ডাকে সাড়া দেন। তারা যদি গুনাহ মাফ চায় আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করে দেন। যমযমের পানিতে স্নাত ও পবিত্র করেন তাদের মন ও মনন। জীবন পরিবর্তনের অনন্য মাধ্যম হল এই উমরাহ ও হজ।

hajj_ihram copy

আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘এক উমরা হতে অন্য উমরা, এ দুয়ের মাঝে যা কিছু (পাপ) ঘটবে তার জন্য কাফফারা। অার হজ! এ যেন একেবারে জান্নাতি উপহার। কারন মাবরুর হজের বিনিময় জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়। যে হজ কবুল হবে তাকে বলে মাবরুর হজ। সকলেই মাবরুর হজের জন্য দোয়া চায়। সকলেই মাবরুর হজ করতে চায়। হাদিসে এসেছে এই মাবরুর হজের প্রতিদান জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়। হজ মানুষকে করে নিস্পাপ। উপহার দেয় পাপমোচিত পবিত্র ও নতুন জীবন।

নাবিয়্যুল অারাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি হজ করল ও শরিয়ত অনুমতি দেয় না এমন কাজ থেকে বিরত রইল, যৌন-স্পর্শ রয়েছে এমন কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকল, সে তার মাতৃ-গর্ভ হতে ভূমিষ্ট ‘হওয়ার দিনের মতো পবিত্র হয়ে ফিরে এল। রাসূলে অাকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অারো বলেছেন, ‘কারো ইসলাম-গ্রহণ পূর্বকৃত সকল পাপকে মুছে দেয়। হিজরত তার পূর্বের সকল গুনাহ মুছে দেয়, ও হজ তার পূর্বের সকল পাপ মুছে দেয়। হজ ও উমরাহ জীবনকে কেবল উন্নতই করেনা, করে সমৃদ্ধও।

ইবনে মাসউদ রা: হতে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, নাবি কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম‘ এরশাদ করেছেন, তোমরা পর পর হজ ও উমরা আদায় করো। কেননা তা দারিদ্র্য ও পাপকে সরিয়ে দেয় যেমন সরিয়ে দেয় কামারের হাপর লোহা-স্বর্ণ-রুপার ময়লাকে। আর হজ্জে মাবরুরের ছোয়াব তো জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়।

সারা বিশ্ব থেকে মুসলিম উম্মাহর যে সকল অালোকিত প্রান পথ চলেছেন কাবার পথে, রাব্বে কারীম সবার হজকে করুন হজ্বে মাবরুর। ইহরামের শুভ্র পোশাক তাদের জীবনে অানুক তাকওয়ার শুভ্রতা অার অমলিন নিস্পাপ অনুভূতি।

লেখক: হজ প্রশিক্ষক, হজক্যাম্প, অাশকোনা, ঢাকা। পরিচালক, মাদরাসাতুল কোরঅান টঙ্গী।


সম্পর্কিত খবর