হাফিজুর রহমান; তুরস্ক থেকে
ইস্তান্বুলের ইয়েনিকাপিতে কয়েক মিলিয়ন মানুষের সমাগমে শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ। মঞ্চে উপস্থিত আছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিব এরদোগান, প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমসহ বড় বড় রাজনৈতিক দলের প্রধানগণ।
অভ্যুত্থানবিরোধ এ মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে দেশটির বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও। সমাবেশ শুরুর আগেই অনুষ্ঠানস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ১২ লাখের মতো লোক উপস্থিত রয়েছে সমাবেশটিতে। সবার হাতে আছে তুরস্কের পতাকা।
তুরস্কে গণতন্ত্র রক্ষা ও শহীদদের স্বরণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহাসিক এ মহাসমাবেশ। ইস্তান্বুলের ইয়েনিকাপিতে মূল স্টেজ হলেও তুরস্কের সবগুলো শহরেই কোটি মানুষ বিশেষ ব্যবস্তায় মহাসমাবেশ উপভোগ করবে।
এর আগে এ মহাসমাবেশকে টার্গেট করে শুধু ইস্তান্বুলেই ৫ মিলিয়ন লোকের উপস্থিতির আশাবাদ ব্যক্ত করছেন রাজনীতিবিদরা।
তুরস্কের আজকের মহাসমাবেশটি সকল দলের অংশগ্রহণে এক ঐতিহাসিক ঘটনায় পরিণত হচ্ছে যাতে সভাপতিত্ব করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও এ সময়ের বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত নেতা রিসেপ তায়্যিব এরদোগান।
বিশ্লেষকরা মত, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সম্মিলনে এই সমাবেশ হবে বিশ্বের অন্যতম ঐক্যের বার্তা। জাতীয় ঐক্যের পথ। সমাবেশের আগে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে এরদোয়ান বলেছিলেন, এ সমাবেশে আমরা এক জাতি হিসেবে এক পাতাকা ও এক মাতৃভূমির জন্য পাশাপাশি দাঁড়াবো।
তুর্কি সময় ৫ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এ মহাসমাবেশ। সমাবেশের এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে গত ১৫ জুলাই তুরস্কের সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দেয়া সাহসী ব্যক্তিদের বক্তব্য।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন, দেশটির ৩য় বৃহত্তম দল মেহেপের প্রধান দেভলেত বাহচেলী, প্রধান বিরোধী দল জেহেপের প্রধান কেমাল কিলিচদারুলু, প্রধানমন্ত্রী ও একে পার্টির প্রধান বিনালী ইলদিরিম, সংসদের স্পীকার ইসমাইল কাহরামান এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিব এরদোগান।
আরআর