শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


একটি ইভেন্ট কজন তরুণের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

tran_ourislam

সাকিব মুস্তানসির; আওয়ার ইসলাম

‘খালি ফটোক তুলি কী হইবে? বাহে না খায়া আছি, ভোকোত প্যাট শুকি গেইছে! কিছু দেন। হামাক গুলা বাঁচান।’

বানভাসিদের চোখেমুখে এখন একটাই চাওয়া পেটপুরে কিছু খেতে চান তারা।এমন একটা আকুতি, চাওয়া, স্বপ্ন তারুন্যের গরম রক্তে জোয়ার আনতে বাধ্য। বাংলাদেশের তারুণ্য কাধে-কাধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে।বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আজতক প্রতিটি বিপর্যয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে। অদম্য শক্তিতে লড়াই করেছে। শাহ জালাল, শাহ মাখদুম, শহীদ তিতুমিরের লহু যে তারুন্যের শিরায় প্রবাহিত সে তো লড়বেই!

ধরলা-পাড়ের কুড়িগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী আরো বেশ কয়েকটি এলাকা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ টাঙ্গাইলসহ আরো কয়েকটি জেলার মানুষের জীবন ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত। ৮৮-এর পর এবারের পানিপ্রবাহের সীমা সবচে আশঙ্কাজনক। স্কেল বলছে, এ অবস্থা চললে ৮৮-এর বন্যার ভয়াবহতাও ছাড়িয়ে যাবে এ বিপর্যয়। একটু চিড়ে আর গুড়ের জন্য হাহাকার লেগে গেছে সেখানে। ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। ঔষধের অভাবে ধুঁকছে মানুষ। বিপন্ন মানুষের জীবন। ভেসে গেছে থাকার জায়গা, ফসলি জমি জীবিকানির্বাহের একমাত্র সম্বল পশুটিও। এখন শুধু জীবনটা নিয়ে বাঁচার চেষ্টা তাঁদের। একটি ভরসাহারানো চোখের নাম হয়ে উঠছে এই জনপদগুলো ।

bonna2

সেখানের মানুষগুলো অমানুষের জীবন যাপন করছে। ওরাও আমাদের ভাই-বন্ধু, বাবা-ছেলে বা অন্যকিছু। আমরাও তাদের আপনজন। কেমন আছে ওরা,কী খাচ্ছে,কোথায় থাকছে,কখনো খবর নিয়েছি আমরা?  না, ওরা ভালো নেই। আমাদের মা-বোনেরা স্বস্তিতে নেই। থাকা খাওয়ার জায়গা নেই। আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। সাধ্যমতো তাদের সাহায্য করা। অন্তত মানবতার খাতিরে। আমরা অবশ্যই পারি, আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত থেকে তাদের জন্য কিছু বরাদ্দ করা। দু'মুঠো খাবারের ব্যবস্হা করা। একটা বস্ত্র দান করা। আমরা অবশ্যই পারি। আমাদের সেই শক্তি আছে।

আরো পড়ুন: বন্যায় নিহত ৪০

এবার কান্নাটা অনলাইনের বাইরে গিয়েও একটু কাঁদার সুযোগ এসেছে। শুধুমাত্র কান্নার ইমো আর স্ট্যাটাস নির্ভর হয়ে আজকের তারুণ্য বসে থাকতে আগ্রহী নয়। তারুন্যের শক্তি আর বন্যা জয়ের অদম্য ইচ্ছাকে সঙ্গী করে আজ পৌঁছে যেতে চায় আর্তের জির্ণ কুটীরে। “আর্তের সেবায় মানবতার টানে”  স্লোগান সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ সাইট  ফেসবুক গ্রুপ "আসহাবে কাহাফ" এক নজিরবিহীন দৃস্টান্ত স্থাপন করেছে।  গনমাধ্যম ও এলাকা পরিদর্শন করে বন্যা পরিস্থিতির চিত্র ও বনবাসি  মানুষের দুর্দশা অনুধাবন করে পাশে দাঁড়ানোরর উদ্যোগ নেয় এক ঝাক তরুণ আলেম দ্বারা পরিচালত "আসহাবে কাহাফ গ্রুপ"। " বন্যার্তদের জন্য ত্রান" নামে ইভেন্ট খুলে গ্রুপের সবার কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হচ্ছে পাশাপাশি সুহৃদ বন্ধুদের কাছেও যাওয়া হচ্ছে ভিক্ষের থলি নিয়ে। জীবন যেখানে বিপন্ন সেখানে কওমের আলেমদের দায়িত্বই সবচেয়ে বেশী।

tran2

আপনার পকেটে মাত্র দশটি টাকা? এর বেশি আপনি দিতেও পারবেন না? কিন্তু আপনার খুব মন চাচ্ছে, এই পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে? কোনো ব্যাপার না। আপনি আপনার ওই দশ টাকাই আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। খুব করে দিতে চাওয়া ওই দশ টাকাই আমাদের দরকার।তবে একটু কাজ আছে আপনার। আপনি একটু খোঁজ নিলেই জানবেন, আপনার পাশেই-বা আছে এমন কেউ, যিনি পঞ্চাশটি টাকা পকেটে নিয়ে উশখুশ করছেন। তাঁরও খুব মন চাচ্ছে, বানভাসিদের সাহায্য করতে। কিন্তু পঞ্চাশ টাকা যে বিকাশ করা যায় না!বুঝে ফেলেছেন? হ্যাঁ, ঠিক এভাবেই, আপনার আশপাশের মানুষের সাথে মিলিয়ে আপনি পাঠিয়ে দিন আপনার ওই একমাত্র দশ টাকার নোটটি, আপনার পাশেকার লোকটির পঞ্চাশ টাকাটি কিবা কারো থেকে পাওয়া শুধুমাত্র পাঁচ টাকার কয়েনটিই।(নেসাররুদ্দীন রুম্মানের স্ট্যাটাস থেকে)

নেসার, মাহাদি, অপু, হুদা, জাবেররা আজ বন্যা জয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আপনারা কেও যদি তাদের সাথে অংশ নিতে চান তাদের জন্য ইভেন্ট লিংকঃ

বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ

এভাবেই বারবার আর্তের টানে এগিয়ে আসবে আসহাবে কাহাফ গ্রুপ ও বাংলাদেশের তরুণ আলেম সমাজ এই প্রত্যয় আমাদের।

ইভেন্টটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম

যারা সহযোগিতা করতে চান বানভাসী মানুষদের জন্য। তারা নিচের নাম্বারে সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।

Bkash: 01815380549 (পার্সোনাল)

Bkash: 01755320490 (পার্সোনাল)।

আরআর

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ