শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


‘আদর্শ নারী’র স্টাফদের পদত্যাগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

adarsh nari.gifআমিনুল ইসলাম হুসাইনী : নারীদের প্রিয় ম্যাগাজিন ‘আদর্শ নারী’র কর্মচারী-কর্মকর্তারা একযোগে ইস্তফা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কর্মকর্তাদের সুযোগ সুবিধা অনাদায় ও ন্যায্য দাবি না মানায় চলতি মাসের শুরুতেই তারা প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যহতির সিদ্ধান্ত নেন। আদর্শ নারীর একাধিক কর্মকর্তা আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোরকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইসলামি পত্রিকার জগতে আদর্শ নারী বেশ পুরাতন। পত্রিকাটির প্রচার সংখ্যা ছিল প্রায় লক্ষাধিক। হাজারও লেখক, পাঠক, ভক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শহর নগর বন্দরসহ গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। পত্রিকাটি মানুষকে বিশেষ করে নারীদের ধর্মীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত এটি অনিয়মিত হয়ে পড়ে। রূপ নেয় মাসিক থেকে দ্বিমাসিকে। এছাড়াও আরো নানারকম সমস্যা চলছিল পত্রিকাটির। এসব মিলিয়ে জুলাইয়ের শুরুতেই পত্রিকাটির সব কর্মকর্তা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আওয়ার ইসলামকে জানান, আমাদের কিছু দাবি ছিল যা আমরা লিখিতভাবে পত্রিকাটির সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করেছিলাম। কিন্তু এসব দাবি দাওয়া মানা হয়নি। এ কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সবাই।

দাবিগুলো কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দাবির মধ্যে প্রথমেই আছে অফিস টাইম কমানো। বর্তমানে সরকারি বেসরকারি অফিসগুলো যে সময়সূচিতে পরিচালিত হচ্ছে আমরাও সেই রুটিনেই কাজ করতে চাই।

একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার স্টাফ হিসেবে আমরা প্রাপ্য ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাই আমাদের দাবি ছিল বেতন বাড়ানো।
আরেকটি দাবি ছিল বকেয়া পরিশোধ করা। আমাদের অনেকেরই কয়েক মাসের বেতন আটকে ছিল। তাই আমাদের দাবি ছিল, দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে।

এছাড়ও প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও আমাদের ছুটি ছিল না। আমাদের দাবি ছিল সরকারি নির্ধারিত ছুটির দিনগুলোতে আমাদেরও ছুটি দিতে হবে।

তিনি বলেন, সম্পাদক আমাদের দাবি মেনে নেননি। উল্টো আমাদের দাবিকে অবমাননা করেছেন। আমাদের দোষারোপ করে বলেছেন, আমরা কাজে ব্যর্থ। আমরা দীর্ঘ একটা সময় আদর্শ নারীতে ছিলাম। সুখে দুঃখে সম্পাদকের পাশে ছিলাম। আমরা আদর্শ নারীকে শুধু দিয়েই গেছি, কোনো দিনও কিছু পাইনি। আর আমরা চাইনিও কোনো দিন। কিন্তু আজ যখন আমরা সামান্য কিছু চাইলাম তিনি আমাদের মূল্যায়ন করেননি। বরং আমাদের দোষারোপ করেন।

আদর্শ নারীর সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মাওলানা মুনীরুল ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময়ই বলে দেবে আমরা কেন চলে এলাম।

তবে তিনি বিস্তারিত কিছু না বললেও ফেইসবুক স্টেটাসে তিনি লিখেছেন, ‘১ অক্টোবর ২০০৩ থেকে ২ জুলাই ২০১৬। ১২ বছর (এক যুগ) ৯ মাস ২ দিন। এই সময়ের সঙ্গে আর কোনো কর্মদিবস যোগ হবে না। আজ থেকে নতুন হিসাব, নতুন সূর্য...। আপনাদের দোয়া চাই।’

বিষয়টি নিয়ে আদর্শ নারীর সম্পাদক আবুল হাসান শামসাবাদীর কাছে জানতে চাওয়া হলে আওয়ার ইসলামকে বলেন, তারা বয়কট করেননি বরং তাদের বয়কট করা হয়েছে।

বয়কট করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মচারীদের ব্যর্থতাই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে তাদের সবাইকে তিনমাসের সময় দেয়া হয়েছে। এতে যদি তারা সংশোধন হতে পারে তাহলে পূনরায় নেয়া যেতে পারে।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ