বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার আগামীদিনে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হবে দেশের হজ ব্যবস্থাপনা: ধর্মমন্ত্রী সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি চাঁদ মামার বয়স হয়েছে! চাঁদের বয়স কত? বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ বাড়তে পারে তাপমাত্রা, দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস

কলকাতা ‘সায়েন্স সিটি’ পরিদর্শন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

afm

ড. আফম খালিদ হোসেন : গত ৩০ মে’১৬ কলকাতায় অবস্থিত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তর বিজ্ঞান সংগ্রহশালা ও বিজ্ঞান কেন্দ্রিক বিনোদন উদ্যান ‘সায়েন্স সিটি’ পরিদর্শনের সুযোগ লাভ করি। দু’ঘন্টা ধরে পুরো এলাকা ঘুরে ফিরে দেখি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধিভূক্ত ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজিয়াম (NCSM) কর্তৃক এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। জেবিএস হালডেন এভিনিউতে ৫০ একর জমি জুড়ে স্থাপিত ‘সায়েন্স সিটি’-এর গোটা পরিবেশ স্নিগ্দ্ধ ও মনোরম। দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা এ সিটির আকর্ষণীয় বৈশিষ্ঠ্য। বছরে প্রায় ১কোটি দর্শক এটি পরিদর্শনে আসেন তৎমধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যাই সর্বাধিক।

এখানে রয়েছে Science City Auditorium, Earth Exploration Hall, Evolution Park, Dynamotion Hall, Space Odyssey, Maritime Centre, Science Park, Convention Centre Complex, Caterpillar Ride, Gravity Coaster, Musical Fountain, Road Train, Cable Car, Monorail Cycle ও Nursary.

১৯৯৭ সালের ১ জুলাই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দের কুমার গুজরাল ‘সায়েন্স সিটি’-এর উদ্বোধন করেন। ৫,৪০০বর্গমিটার এলাকা জুড়ে স্থাপিত স্পেস থিয়েটার মিলনায়তনে ১৫০টি স্পেশাল ইফেক্ট প্রজেক্টরের মাধ্যমে ৪০ মিনিট ধরে ‘জীবনের বিবর্তন’ দেখানো হয়। এতে সৃষ্ঠির রহস্য জানার সুযোগ অবারিত হয়। বর্ণনার হিন্দি ধারাভাষ্য বেশ উপভোগ্য । 3-D Vision Theater –এ ৩০ মিনিট ব্যাপী প্রাচীন মিশরের জীবনধারা, মমি, পিরামিড ইত্যাদির মুভি দেখানো হয়।

ইংরেজি ভাষায় প্রচারিত ধারাভাষ্য অনেকের কাছে বোধগম্য হয় না। হিন্দি ভাষায় ডাবিং করলে সবাই উপকৃত হতে পারতো। আলোর রশ্মিকে প্রতিবিম্বিত করে কাঁচের ম্যাজিকের প্রদর্শনী রয়েছে ৩৫টি। বিস্তৃত সবুজ পার্ক সহজে মনকে সতেজ করে তুলে। প্রবেশ, ইভেন্ট ও প্রতিটি রাইডের জন্য রয়েছে পৃথক টিকিটের ব্যবস্থা। এক কথায় কলকাতা ‘সায়েন্স সিটি’ অপূর্ব, শিক্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর।

ড. আফম খালিদ হোসেন এর ফেসবুক পেইজ থেকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ