গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টেবিলঘড়ি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার আজমত উল্লা খান ছাড়া বাকি ছয় মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
বেসরকারি ফলাফলঅনুযায়ী, এ সিটির ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন, যা মোট ভোটের ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, জামানত বাঁচাতে হলে প্রার্থীকে প্রদত্ত ভোটের কমপক্ষে আট ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। এ সিটিতে ভোট পড়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০টি। সে হিসেবে জামানত বাঁচাতে প্রত্যেক প্রার্থীর কমপক্ষে ৪৬ হাজার ৪ ভোট পেতে হতো।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বিজয়ী জায়েদা খাতুন টেবিলঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়াদের মধ্যে হাতপাখা প্রতীকের গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫, মাছ প্রতীকের আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪, লাঙ্গল প্রতীকের এমএম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২, গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ এবং ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৬ ভোট।
তবে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী জামানত হারালেও গাজীপুরে এবার তাদের ভোট ব্যাংক হয়েছে দ্বিগুণ। ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে হাতপাখা যেখানে পেয়েছিল ২৬,৩৮১ ভোট সেখানে এবার তাদের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান পেয়েছে ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট। অল্পকিছু ভোটের জন্য তিনি এবার জামানত হারাতে পারেন।
এদিকে গাজীপুরে হাতপাখার ভোট বৃদ্ধির বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন দেশের ইসলামী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কেএল/