বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ ।। ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৪


নিপুণ সেজদার সাধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ||

তিনি খুব প্রিয়দর্শন ছিলেন। তার গোসলের দৃশ্য ছিল হৃদয়গ্রাহী। তার হাতের আঙুলের আমি ভক্ত ছিলাম। তার নিথর দেহ অন্যেরা গোসল দিল। তার হাত আঙুল গোটা দেহ ছিল তখন প্রবল অসার।

সবচেয়ে বেশি ভক্ত ছিলাম তার নিপুণ সেজদার। কত যে মনোগ্রাহী ছিল নামাজ তাহার। আহারে, তার আর সেজদা দেয়া হবে না। হবে না বিগলিত প্রার্থনা। বারযাখে মহান স্রষ্টা তাকে আরামে রাখুন।

মনে পড়ে, সেদিন পৃথিবীর সব দিক থেকে নেগেটিভ জবাব পেয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়া প্রিয় লোকটিকে। সবার কাছে আশাহত মানুষটি যেন নিজেই কান্না হয়ে গলে পড়তে লাগলেন রাতের জায়নামাজে।

অস্তিত্বভরা আজন্ম সংবেদন আর আনুভূতিক কষ্ট তার মানুষের ছোঁয়ায় আচরণে হয়ে আছে শতগুণ।

পরিবেশ ও নিয়তির দেওয়া দুঃখ ভার তাপ কান্না হয়ে ঝরছে নামাজখানায়।

তিনি আর তিনি নন। ব্যক্তি মানুষ তিনি আত্মহারা কাদামাটির প্রাণজ স্পন্দন।আসলে সে তখন তার মালিকের সবচেয়ে কাছে।

অগন্য আলোকবর্ষ দূরে আরশে আজিম থেকে তার আহ্, তার হা হুতাশ শুনছেন রাব্বুল আলামীন।

সবচেয়ে খারাপ সময়ে সে পেয়ে গেছে সবচেয়ে সুসময়। বড় নেয়ামত। বিলীন সেজদায় সে তার রবের কাছাকাছি এখন। হৃদয়ের ভাব প্রকাশের পেয়েছে সুবর্ণ সুযোগ।

যা বলার তা বলতে পারছে বিনা বাধায় সরাসরি। সেখানে নাম লেখাচ্ছে সে শান্তি ও মুক্তির খাতায়, যেখানে যেতে হবে তাকে আজ অথবা কাল।

সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা। সুবহানা রাব্বি আল আ'লা ওয়াবি হামদিহি। সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রাব্বুনা।

সে তার সকল দুঃখের প্রদীপ জ্বেলে মহামহিমের শানে করে নিবেদন। প্রচণ্ড ঝড়ের মাঝে প্রত্যয়ের চেরাগ জ্বেলে সে আলো করে গেছে তার বহুদামি মহান জীবন। এরাই সৌভাগ্যবান। অবশেষে এরাই  সফল। সার্থক জনম।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ