‘মুহতামিম ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের জন্য শুধু ছাত্র গড়ার ফিকিরই নয়, যোগ্য উস্তাদ ও আলেম গড়ার ফিকিরও থাকা একান্ত প্রয়োজন। যাতে একজন উস্তাদ যোগ্য শিক্ষক, যোগ্য মুফাক্কির, যোগ্য মুনাযির ও যোগ্য লেখক (মুসান্নিফ) হিসেবে গড়ে উঠেন।’ -মাওলানা নুর হুসাইন কাসেমী রহ. -(মাসিক আলকাউসার, জানু:২৩)
বর্তমানে আমাদের মাদরাসাগুলো এ ব্যাপারে একদম বেখবর। এবং এর খেসারত আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দিতে হবে। আমার জানা মতে, অনেক মাদরাসা তাদের অনেক যোগ্য মেধাবী উস্তাদদেরকে এ ক্ষেত্রে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। যোগ্য ফন্নি উস্তাদ তৈরি না হলে সিরিয়ালের এত এত ছাত্র ও 'এবার যারা আলেম হলেন' টাইপের ডাইরির সৌন্দর্য দিয়ে কি হবে?
আমি গত বছর আমাদের মাদরাসায় প্রায় অর্ধ শত ছাত্রের উপর জরিপ করেছি। জানতে চেয়েছি, তারা দাওরা ফারেগের পর কী হতে চায়? অধিকাংশের উত্তর ছিল- ব্যবসা বাণিজ্যে যোগ দিবে। এরপর কখনো সময় সুযোগ হলে মাদরাসায় পড়াবে। কপালে ভাঁজ তুলে চিন্তা করলাম, রিজাল সংকটের এ সময়ে আম এ চিন্তা একটা প্রজন্মের মধ্যে থাকলে পালনপুরি, তকি উসমানির মত দেখা মনীষী তৈরির পথ সুদুর পরাহত!
দীনের রক্ষাকবচ মাদরাসাগুলো আগের মত রিজাল তৈরির ফিকির না করলে এর চরম খেসারত দিতে হবে। যা এখনই অনেক স্থানে দৃশ্যমান!
কেএল/