ইসলামি শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা বাঙালি মুসলিম সমাজে ওয়াজ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের দেশে সাধারণত শীতকালে ব্যাপক ওয়াজ-মাহফিলের আয়োজন হয়ে থাকে। শীতের আগে-পরে তাই ব্যস্ত সময় পার করেন ইসলামি আলোচকগণ। কিন্তু মাহফিলের ব্যস্ততা কাটলে কীভাবে কাটে তাদের দিনরাত্রি?
দেশের স্বনামধন্য আলেমেদ্বীন ও আলোচক মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ আওয়ার ইসলামকে জানান তার অবসর কাটানোর কথা। তিনি বলেন, ওয়াজের মৌসুম চলে গেলে আমার বেশির ভাগ সময় কাটে দরস-তাদরিস ও মোতাআলায়। তাছাড়া মাদরাসার লেখাপড়ার মান আরো কীভাবে ভালো করা যায়, শিক্ষার্থীদের আমল-আখলাকে কীভাবে আমূল পরিবর্তন আনা যায়? সেসব নিয়ে বড় একটা সময় কাটানো হয়।
রাজধানীর দারুল উলুম বনশ্রীর এই প্রিন্সিপালের অবসর সময়ের আরো কিছু সময় কাটে সামাজিক সেবা ও কল্যাণমূলক কাজে।
সুলতানুল ওয়াজিন খ্যাত মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীও মাহফিলের ব্যস্ততা না থাকলে বড় একটা সময় ব্যয় করেন দরস-তাদরিসে। তবে কিছু ইসলাহি মাহফিলেও তিনি সময় দিয়ে থাকেন। তাছাড়া তার অবসরের অন্যতম একটি প্রিয় কাজ মোতাআলা ও গবেষণা।
বাংলাদেশ মোফাস্সির সোসাইটির চেয়ারম্যান মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী জানান, ওয়াজের বাইরে তার বেশির ভাগ সময় কাটে চর্চা ও গবেষণায়। ওয়াজের সিজন না থাকলে তিনি আগামী মৌসুমেকী আলোচনা করবেন? সেগুলো নিয়ে গবেষণা করেন, আলোচনা সাজান। কখনো পরবর্তী মৌসুমের আলোচনা সাজাতে তার লম্বা একটি সময় লেগে যায়। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, আমি এমনভাবে আলোচনাকে সাজাতে চেষ্টা করি যেন এর মাধ্যমে মানুষের দ্বীনি উপকার হয়।
নিজের ব্যবসা, লেখালেখি, সমাজ সেবায়ও তিনি সময় দেন অবসরে। তাছাড়া পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজনের জন্য অবসরের কিছু সময় বরাদ্ধ থাকে মাওলানা আজাদীর।
তরুণ আলোচক মুফতি রিজওয়ান রফিকীর অবসরের বেশির ভাগ সময় কাটে তাসনিফাতে। হিজবুত তাওহিদ নিয়ে প্রায় ৩শ পৃষ্ঠারও বেশি একটি বইয়ের কাজ সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন; যা বাজারে আসবে। তাছাড়া এই ফেতনাকে নিয়ে গবেষণায়ও তার সময় ব্যয় হয়। আর দরস-তাদরিসেও তিনি অবসর কাটান।
কেএল/