গত ৩ এপ্রিল তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের ৫ সিটি করপোরেশনে শুরু হয় নির্বাচনী তোড়জোড়। আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন ছাড়া আর কোনো দলের প্রার্থীর উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে না।তাদের অবস্থান এখনো নিরব।
সিটি নির্বাচনে কেন এলো না বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন? জানতে চেয়েছিলাম দলটির নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর কাছে। তিনি বলছেন, স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে আমরা এখানো কিছু ভাবছি না। পরিস্থিতি বিবেচনায় যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।তাহলে সেটা আপনাদেরকে জানানো হবে।
‘আমরা আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলীয়ভাবে প্রার্থীরা বাছাইয়ের কাজ চলমান।পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একটি জোট গঠনের জন্য।’ –বলেন, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী
বর্তমান সরকারের অধিনে নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ হবে সেটাই আমরা চাই। তবে সে দাবি যদি আদায় না হয় এবং সংবিধান অনুযায়ী যদি নির্বাচন হয়; সেই নির্বাচনেও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ।
এদিকে খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী জানান, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। নির্বাচনের পরিবেশ ভালো হলে আমরা নির্বাচনে আসতে চাই।
তিনি বলেন, খেলাফত মজলিস নির্বাচন মুখী দল। আমরা নির্বাচনে অংশ নিতেই চাই। কিন্তু পরিস্থিতিও তো সন্তোষজনক হতে হবে।
সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন অংশ নিচ্ছে। তাদের প্রতি আপনাদের মৌন কোনো সমর্থণ থাকবে কী না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌন সমর্থন তো নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলে না। আমরা এ বিষয় নিয়ে নিশ্চুপ। এখন এটাকে তো সমর্থণ এবং অসমর্থণ দুইটাই ধরা যায়। আসলে আমরা নির্বাচন পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নই।
অপরদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া বলছেন, নির্বাচনের পরিবেশ তো এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে যেতে আগ্রহী নই। অবাধি, সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা নির্বাচনে যাবো।
প্রসঙ্গত, ৫ সিটিতে নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। ভোটগ্রহণের হালনাগাদ তথ্য কর্মকর্তারা ট্যাবের মাধ্যমে কমিশনকে জানাবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমের তথ্য মতে, প্রতিটি সিটিতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। সব সিটি নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ করা হবে।
টিএ/