বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ ।। ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৪


যে চার শ্রেণীর নারীদের রমজানের রোজা না রাখার সুযোগ আছে


আবদুল্লাহ তামিম।।

আবদুল্লাহ তামিম।।
শেয়ার

রমজানের রোজা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ। কেউ পীড়িত হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করে নিতে হয়। তবে চার শ্রেণির নারীর রমজান মাসে রোজা না রেখে পরবর্তীতে কাজা করার সুযোগ আছে। তারা হলেন-

১. অন্তঃসত্ত্বা নারী: রোজা রাখলে যদি তার নিজের বা গর্ভস্থ সন্তানের সমূহক্ষতির আশঙ্কা থাকে তবে পরে কাজা আদায় করতে পারবেন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ধর্মীয় বিধানের গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিনা কারণে বা সামান্য অজুহাতে ফরজ রোজা ছাড়া যাবে না। তবে পরবর্তী সুস্থতার সময় তা শুধু কাজা করতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না। কিন্তু রোজা রাখার দ্বারা যদি স্বাস্থ্যের ওপর কোনও প্রভাব না পড়ে এবং সন্তানের জন্যও আশঙ্কাজনক কোনও অবস্থা তৈরি না হয় তাহলে তিনি রোজা রাখবেন। (ফাতহুল কাদির : ২/২৭২, রদ্দুল মুহতার : ২/২০২)।

২. দুগ্ধদানকারী নারীর বিধানও অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনুরূপ। স্তন্যদাত্রী নারী রোজা পালনের ফলে নিজের বা দুগ্ধপোষ্য শিশুর স্বাস্থ্যহানি বা অঙ্গহানির সম্ভাবনা থাকলে পরবর্তীতে কাজা আদায় করার শর্তে রোজা ছাড়তে পারবেন। এ ব্যাপারে সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী রমজানের রোজা ভাঙতে পারবেন। তবে পরে তা কাজা করে নেবেন। রোজার পরিবর্তে রোজা না রেখে ফিদইয়া হিসেবে মিসকিনদের খাওয়াবেন না। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস : ৭৫৬৪)।

৩. মাসিক বা ঋতুবতী নারী ও
৪. সন্তান প্রসব পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট দিনগুলোতে নারীদের ওপর রোজার বিধান স্থগিত থাকবে। পবিত্র এবং সুস্থ হওয়ার পর উক্ত দিনগুলোর রোজা কাজা আদায় করে নিতে হবে।


হাদিসে এসেছে, হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে আমরা পবিত্র হলে তিনি আমাদের রোজা কাজা করার নির্দেশ দিতেন। কিন্তু নামাজ কাজা করার নির্দেশ দিতেন না। (বুখারি, মুসলিম, জামে আত-তিরমিজি, হাদিস নং-৭৮৭)।

-একে


সম্পর্কিত খবর