বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :

‘খেলাফত শাসনব্যবস্থা না থাকায় দেশে খুন, ধর্ষণ ও দুর্নীতির সয়লাব চলছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমিরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, খেলাফত শাসনব্যবস্থা না থাকায় দেশে খুন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষন, দুর্নীতি, জুলুম-নির্যাতনের সয়লাব চলছে। দেশে বাহ্যিক উন্নয়নের অন্তরালে নৈতিকতার চরম বিপর্যয় ঘটছে।

রোববার (২৯ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া মাদরাসা ময়দানে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কালিমা, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভাস্কর্যের নামে মুসলিম অধ্যুসিত বাংলাদেশের মোড়ে মোড়ে মূর্তি স্থাপন, ইসলামী রাজনীতি বন্ধ করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আন্দোলনরত ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানী করা হচ্ছে। ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন ও ইসলামী রাজনীতি বন্ধের ষড়যন্ত্র ধর্মপ্রাণ জনতা কখনো বরদাশত করবে না।

‘সব ধরনের ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় খেলাফত আন্দোলনের প্রতিটি কর্মী জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাগুতি শক্তিকে পরাভূত করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, খেলাফত শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে হযরত মুহাম্মাদ (সা:) যে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়ে গেছেন তাতে মুসলমানসহ সকল ধর্মের মানুষের ন্যায্য অধিকার রয়েছে। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন-ই চলবে। আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কুরআন সুন্নাহর শাসন কার্যকর করতে হবে।

মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ইসলাম, কুরআন-হাদিস ও মহানবী সা. কে নিয়ে নাস্তিক্যবাদীরা অপমানজনক ব্যঙ্গ চিত্র প্রদর্শনের দু:সাহস দেখাচ্ছে। যে কোন মূল্যে তাদের প্রতিহত করতে হবে। খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষে তাওহিদী জনতাকে নতুন করে জাগ্রত করতে হবে। তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে এক ও নেক হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা সোলাইমান নোমানী, মাওলানা ইসমাঈল বরিশালী, মাওলানা হাজী ফারুক আহমাদ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদার, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, মাওলানা মীর ইদরীস, হাজী জালাল উদ্দিন বকুল, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, এডভোকেট লিটন চৌধুরী, মাওলানা সানাউল্লাহ, ডা. নেয়ামত আলী ফকীর, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, এডভোকেট আব্দুল আজীজ মোমেনশাহী, মাওলানা গাজী ইউসুফ ফেনী, মৌলভী আব্দুল রকীব নেত্রকোনা, মাওলানা শেখ সাদী নারায়ানগঞ্জ, মুফতি আব্দুল আজীজ চট্রগ্রাম, মাওলানা শিহাবউদ্দিন কাসেমী গোপালগঞ্জ, মাওলানা খোদাদাদ, মাওলানা আব্দুল লতীফ সিরাজী, মাওলানা জুনায়েদ আহমাদ কাটখালী, মাওলানা জিয়াউল হক শহিদী, মুফতি মোর্শারফ হোসাইন নরসিংদী, মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক ও মাওলানা হাসান ফারুক প্রমুখ।

প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে মজলিসে শুরার অধিবেশনে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীকে আমির ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীকে মহাসচিব পূনঃনির্বাচিত করা হয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ