বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


১ কোটি ৭০ লাখ ব্যয়ে শুঁটকি উৎপাদন শিখতে বিদেশ যাবেন ৩০ কর্মকর্তা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শুঁটকি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিখতে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ জন সরকারি কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনকে এ প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।

সূত্র মতে জানা গেছে, ২০০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কক্সবাজার জেলায় শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবটি দেয়া হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় একটি জিপ, একটি ডাবল কেবিন পিকআপ, একটি মাইক্রোবাস ও চারটি মোটরসাইকেল কেনার প্রস্তাব দেয়া হলেও গাড়িচালকের পদের জন্য কোনো সুপারিশ করা হয়নি। বিষয়টি সংশোধন করতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন।

এ ছাড়া দেশে ৪ হাজার ৮৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, উপকারভোগী ও স্টেকহোল্ডারের জন্য প্রশিক্ষণ বাবদ ধরা হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর মধ্যে জন প্রতি প্রশিক্ষণ ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা, প্রশিক্ষণ সামগ্রী (ব্যাগ, নোট প্যাড ও কলম) বাবদ ১ হাজার ২০০ টাকা এবং নাস্তা ও দুপুরের খাবার বাবদ জন প্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা।

চার জন কর্মকর্তার মূল বেতন ধরা হয়েছে ৬৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা, ৩ জন কর্মচারীরর মূল বেতন ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার টাকা, একজনের মোবাইল ভাতা ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার টাকা, একজনের মোটরযান রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা ধরা হয়েছে ২১ লাখ টাকা, পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ টাকা এবং সাত জনের বাড়ি ভাড়া ধরা হয়েছে ৩৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।

প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৫০টি গ্রিন হাউস মেকানিক্যাল ড্রায়ার, ৩০টি মেকানিক্যাল ড্রায়ার, আড়াই হাজার বর্গমিটার আয়তনের অবতরণ শেড, ১ হাজার ৮৬০ বর্গমিটার আয়তনের চারতলা ল্যাব, অফিস, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম ডরমেটরি, ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজ (চার চেম্বার বিশিষ্ট), প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি ও ৩৬টি শুঁটকি বিক্রয় কেন্দ্র, ১০টি টয়লেট, তরল বর্জ্য শোধনাগার বা ইটিপি এবং ইনচার্জ অব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ডব্লিউটিপি) নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) মো. শামসুজ্জামান বলেন, ৩০ জন কর্মকর্তা প্রকল্পের আওতায় বিদেশ যাবেন এবং তাদের সবাই প্রসেসিং কর্মকর্তা। প্রকল্পের আওতায় বিদেশ থেকে যে মেশিনগুলো কেনা হবে, সেগুলো কীভাবে পরিচালনা করা হয় তা শেখার প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে শুঁটকির মান বাড়বে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ