শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


মসজিদগুলোতেই মানা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবিধি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট>

বৈশ্বিক মহামারীর সংক্রমনের সময়ে ৬ এপ্রিল সারাদেশের সকল মসজিদগুলোতে সীমিত পরিসরে নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

করো না পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দেখা দিলে গত ৬ মে থেকে দেশের সকল মসজিদ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেই বাংলাদেশের প্রায় সকল মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।

আগত মুসল্লিদের প্রত্যেকেই যেন বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করেন, সেদিকে দৃষ্টি ছিল সংশ্লিষ্ট সকলের।

মহামারীর এই সময়ে সংক্রমণ ঠেকাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর জীবাণুনাশক দিয়ে মসজিদের মেজে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। নামাজে দাঁড়ানোর সময় যেন শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকে সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন মসজিদের ইমাম খতিব ও খাদেমরা।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম পরিদর্শন করেছে আওয়ার ইসলাম। নামাজ আদায়ে আসা মুসল্লিদের মাঝে দেখা গেছে যথেষ্ট সচেতনতা। এই সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন মসজিদের খতিবগণ। জুমার দিনে মসজিদের মিম্বর থেকে দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা দিক নির্দেশনা।

ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ আওয়ার ইসলামকে বলেন, স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া নিয়ম-নীতির বাইরে আমরা মসজিদগুলোতে আলাদা কিছু নিয়ম মানার কথা ঘোষণা করেছিলাম। মসজিদ কর্তৃপক্ষ যেন মুসল্লিদের শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার ও ঘর থেকে মুসল্লিরা অজু করে আসে কিনা, এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন, এমন নির্দেশনা জারি করেছিলাম।

জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাশেমের মতে, কুরআন ও হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এই আজাব থেকে পরিপূর্ণ রক্ষা মিলবে। শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামেই রয়েছে এর সমাধান।

"স্বাস্থ্যবিধি মনে করে সচেতনতা অবলম্বন করলে সওয়াব নেই। কিন্তু কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা মনে করে মান্য করলে, ইহকালীন সুরক্ষা ও পরকালীন মুক্তি উভয়ই মিলে একসাথে!" অভিমত মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেমের।

জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের চিফ খাদেম আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর মসজিদ মেডিসিনের মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করি। মুসল্লিদের ফাঁকা ফাঁকা হয়ে দাঁড়াতে অনুরোধ জানাই। এবং প্রতিটি গেটের সামনে জীবানুনাশক স্প্রের মাধ্যমে মুসল্লিদের শরীরে লেগে থাকা (যদি থাকে) জীবাণুমুক্ত করার চেষ্টা করি।

সাভার উপজেলা ওলামা পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি মুফতি রফিকুল ইসলাম সরদার দাবি করছেন, ইসলামের মূল আকিদা (বিশ্বাস) অর্থাৎ, আল্লাহ চাইলে সব কিছু হয় আল্লাহ্ না চাইলে কোন কিছুই হয় না- এ বিষয়টি আরও একবার পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে গেল।

আমাদের স্বাস্থ্যবিধি বা সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। কোরআন ও হাদীসে এ বিষয়ে বেশ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সুতরাং ওই বিশ্বাসের জায়গাটা আরো দৃঢ় করে, স্বাস্থ্য বিধি মানার মধ্যেই রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি। বলছিলেন উনি রফিকুল ইসলাম সরদার

এভাবেই নিয়মিত নামাজ চলতে থাকুক মসজিদগুলোতে। এমনটাই প্রত্যাশা দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানের।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ