শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


‘চীনের মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে কঠোর হতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া এক বিবৃতিতে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর ও অন্য সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলছে জুলুম নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, উইগুরদের জোর করে বন্ধ্যা করে দেওয়াসহ তাদের জনসংখ্যা কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে চীনা সরকার, যা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। চীনা কর্তৃপক্ষ এসব সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি এবং জীবনাচরণ নির্মূল করার উদ্দেশ্যে তাদের বন্দি শিবিরে আটকে রাখছে। জাতিগত গণহত্যার জন্যই এমন নির্যাতন-নিপীড়নের মূল্য উদ্দেশ্য।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, জিনজিয়াংয়ের উইগুর ও অন্য সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা কমাতে নারীদের জরায়ুুতে আইইউডি (ইন্ট্রা-ইউটেরিন ডিভাইস) স্থাপন করা হচ্ছে, জোরপূর্বক সার্জারি করে তাদের বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে, এমনকি অনেকক্ষেত্রে গর্ভপাতও করানো হচ্ছে। যেসব নারী একাধিক সন্তান নিচ্ছে, তাদের বন্দিশিবিরে আটক করে রাখা হচ্ছে। চীনের মুসলমানদের উপরএসব জুলুম নির্যাতনের কোন প্রতিবাদ করছে না কেউ।

তারা বলেন, সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যেহোতান এবং কাশগার অঞ্চলে উইগুরদের জন্মহার ৬০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। জিনজিয়াং অঞ্চলজুড়ে জন্মহার কমা অব্যাহত রয়েছে। শুধু গত বছরই জন্মহার কমেছে ২৪ শতাংশ, যেখানে গোটা চীনে জন্মহার কমেছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ১৯৪৮ সালের ‘কনভেনশন অন দ্য প্রেইভেনশন অ্যান্ড পানিশমেন্ট অব দ্য ক্রাইম অব জেনোসাইড’ অনুযায়ী, কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্মহার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তা গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হবে। নেতৃদ্বয় চীনের মুসলিম বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বমুসলিম নেতৃবৃন্দকে ফুসে উঠতে হবে।


সম্পর্কিত খবর