বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

কওমি মাদ্রাসার পরীক্ষাসহ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ড. মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী

অধ্যাপক, উর্দূ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় স্বার্থে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব
১. এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করুন। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে পরীক্ষা শুরু করুন। এক টেবিলে একজন পরীক্ষা দিবে। এজন্য পরীক্ষা কক্ষ বাড়ালেই হবে। সব বিষয়েই পরীক্ষা হোক। সিলেবাস কমিয়ে সহজ প্রশ্ন করা যেতে পারে।
২. জেএসসি পরীক্ষা বাতিল না করে উপরের নিয়মেই ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিন।
৩. আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা মার্চে হবে ঘোষনা দিন।

৫. গ্রামের সকল প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা সব এখনই খোলে দিন। গ্রামের জীবনযাত্রা কিন্তু স্বাভাবিক চলছে। শুধু শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোন মানে হয় না। গ্রামে যেহেতু অনলাইন ক্লাস হয়নি তাই তাদেরকে আগামী সপ্তাহ থেকেই ক্লাস করার সুযোগ দেয়া হোক।
৬. শহরের প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। স্কুল খোলা না হওয়া পর্যন্ত জোরালোভাবে অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যেতে পরামর্শ দিব।
৭. সকল স্কুল, মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে নেয়া হোক।
৮. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি ক্লাস চালু করা হোক। এ জন্য ২/৩ দিন আগে হল খোলে দেয়া হোক।
৯. কলেজগুলোতে এইচএসসি পরীক্ষার পর পুরোদমে সরাসরি ক্লাস শুরু করুন।
১০. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সর্তকতা মেনে চলুন।

সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন। আমাদের সন্তানরা এসব ব্যাপারে ভালো উদ্যোগ না নেয়ায় হতাশায় আছে। দীর্ঘদিন লেখাপড়া বিমুখ থাকলে কারো কারো জীবনে শিক্ষার প্রতি চূড়ান্ত অনিহা তৈরী হয়ে যেতে পারে। করোনা অন্যান্য ভাইরাস বা রোগের মতো একটি রোগ। জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁপানি, হৃদরোগ, ডায়েরিয়া ইত্যাদি যেমনভাবে আমাদের প্রায়ই হয়, এসব কারনে কেউ কেউ মারাও যায়, তারপরও আমরা কিন্তু এসব মাথায় নিয়েই আমাদের জীবন চালাচ্ছি। সামনে অগ্রসর হচ্ছি। ঠিক এমনিভাবে করোনাকে মাথায় রেখে আমাদের চলতে হবে।

এ করোনাও একবারে পৃথিবী থেকে বিদায় হয়ে যাবে তা আশা করা যায় না। রাস্তায় যেমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ রিস্ক নিয়েই আমরা প্রতিদিন বের হই, এখনও আমাদেরকে বের হতে হবে জীবনকে অগ্রসর করার লক্ষ্যে। যারা একটিভ তারা তুলনামুলকভাকে করোনায় আক্রান্ত কম হচ্ছেন।

দু’বছর আগে কয়েক মাসে শুধু চিকনগুনিয়ায় ১৭০০ লোক মারা গিয়েছেন বাংলাদেশে। এ ভয়ে অমরা কিন্তু কোন কিছু বন্ধ করিনি। যা হবার হয়েছে। এখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। সিদ্ধান্তহীন জীবন খুবই দুর্বিসহ।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ