শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


আয়া সোফিয়ায় নামাজ আদায়ের নিন্দা করলো গ্রিস, ক্ষেপেছে তুরস্ক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইস্তাম্বুলের প্রসিদ্ধ আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছে ৮৬ বছর পর। শুক্রবার (২৪ জুলাই) জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে ফের নিয়মিত নামাজ শুরু হয়েছে আয়া সোফিয়ায়।

তুরস্কের এমন পদক্ষেপকে ভালোভাবে নিতে পারেনি প্রতিবেশি গ্রিস। দেশটির সরকার আঙ্কারার এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তুরস্ক।

শনিবার গ্রিসের নিন্দা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আয়া সোফিয়া মসজিদ উপাসনার জন্য উদ্বোধনের প্রতিক্রিয়ার অজুহাতে গ্রিস আবারো ইসলাম ও তুরস্কের সাথে তার বৈরিতা প্রকাশ করেছে। গ্রীক সরকার এবং সংসদ সদস্যদের শত্রুতামূলক বক্তব্য এবং তুরস্কের গৌরবময় পতাকা পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউরোপের লুণ্ঠিত শিশুরা আয়া সোফিয়ায় ফের নামাজ পড়তে দেখে সহ্য করতে পারছে না। তারা আবারো নিজেদের বিভ্রান্তিকর অবস্থান দেখিয়েছে। এই বর্ণবাদীরা (যারা তুর্কি পতাকা জ্বালিয়ে দিয়েছিল), ইতিহাস থেকে কোনো শিক্ষা নেয়নি।

আয়া সোফিয়াকে তুর্কি জনগণের ইচ্ছার সাথে মিল রেখে মসজিদ হিসাবে নামাজের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশের সকল সাংস্কৃতিক সম্পদের মতো এটিও তুরস্কের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং আছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু তুরস্কের জনগনের।

গ্রিস একমাত্র ইউরোপীয় দেশ যার রাজধানীতে কোন মসজিদ নেই এবং দেশটি তুর্কি মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর অমানবিক নিষ্ঠুরতা ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে (ইসিটিএইচআর) লিপিবদ্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, আয়া সোফিয়া মসজিদটি ৮৬ বছর পরে শুক্রবার পুনরায় নামাজের চালু খুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে, চলতি মাসে তুরস্কের একটি আদালত ১৯৩৪ সালের তুর্কি সরকারের একটি আদেশ বাতিল করেছিল যা আয়া সোফিয়াকে একটি যাদুঘরে রূপান্তরিত করেছিল। এই আদেশ বাতিল আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদের রূপান্তরের পথ সুগম করে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ।

-এটি


সম্পর্কিত খবর