বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


অবশেষে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় দাফনের জায়গা পেল মুসলমানরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মৃত মুসলিম আত্মীয়-স্বজনদের কবর দিতে আর মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে হবে না ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার মুসলিম বাসিন্দাদের। এখন থেকেই কবর দেওয়া যাবে নগরীতেই।

মৃত স্বজনদের কবর দেওয়া নিয়ে বুধবার থেকে শেষ হয়েছে ম্যানিলার মুসলিমদের এই ভোগান্তি। এদিন ম্যানিলার মেয়র ফ্রান্সিসকো দামাগোসো নগরীতে প্রথম মুসলিম কবরস্থান নির্মাণ উদ্বোধন করেন।

এটিকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন দামাগোসো। এই প্রকল্পকে এই নগরে মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার পন্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

আজকের দিনটা ইতিহাসের অংশ। কারণ পরবর্তী প্রজন্মকে আমরা দেখাতে চেয়েছি যে, আমরা ম্যানিলাবাসী, তাদেরও স্মরণ করা উচিত। তাদের ভুলে যাওয়াটা উচিত হবে না।

২৪ স্কয়ার মিটার বড় মুসলমানদের কবরস্থানটিতে ৩৭৮টি কবরের জায়গা রাখা হয়েছে। সেখানে একটি মসজিদও নির্মাণ করা হবে। এ জন্য প্রায় ৫০ কোটি ম্যানিলন (১০ লাখ ডলার) পেসো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মেয়র দামাগোসো আরও বলেন, “তারা যাতে নিজেদের স্বীকৃত ভাবে এবং নিজেদের ম্যানিলার অংশ হিসেবে মনে করে সে জন্য আমাদের এই নিজস্ব ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।”

মুসলিম সম্প্রদায়কে আগের প্রশাসন পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলো অবহেলা করায় এবং তাদেরকে যথাযথ কবরস্থানটুকুও দিতে না পারায় ক্ষমা চান দামাগোসো।

এটা দীর্ঘ এক অপেক্ষা। নির্দিষ্ট করে বললে, এটা অবহেলা ও অস্বীকৃতির ৫০০ বছর হবে। এখন আমাদের ছেলে-মেয়েরা আমাদের শহরে আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও রীতিনীতিকে সম্মান জানিয়ে যাবে এবং স্মরণ করবে। দামাগোসো জানান, মুসলমানরা ম্যানিলাকে মহিমান্বিত করেছে। তারা স্প্যানিশদের আগে ফিলিপাইনের দ্বীপগুলোতে পৌঁছেছিল।

ম্যানিলার মেয়রের এমন উদ্যোগে খুব খুশি মুসলিম সম্প্রদায়। কবরস্থান নির্মাণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা মুসলিম ফিলিপিনোসের জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান সাইদামেন পাগারুনগান বলেন, ঐতিহাসিক এই উপহারে কেবল ম্যানিলার মুসলমানরাই খুশি নয়, দেশের ১ কোটি ২০ লাখ মুসলমানই খুশি। এত দিন ম্যানিলার কোনো মুসলমান মারা গেলে অনেক দূরের তাগুইগ সিটিতে নিয়ে দাফন করা লাগত।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ