শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


আসন্ন ঈদুল আযহায় নির্বিঘ্নে পশু ক্রয় ও কোরবানির সুব্যবস্থার দাবি খেলাফত মজলিসের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পশু ক্রয় ও কোরবানি দিতে পারে তার সুব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, কোরবানি মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তির পক্ষ থেকে ঈদুল আযহার দিনগুলোতে পশু কোরবানী দেয়া ওয়াজিব। দেশবাসী এ গুরুত্বপূর্ণ আমল যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারে তার জন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

কিন্তু কিছু লোক করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন অজুহাতে পশু কুরবানীকে নিরুৎসাহিত করতে চায়। এরা ইসলাম বিদ্বেষী মতলবাজ। এসব ইসলাম বিদ্বেষী মতলববাজদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামে দান- সাদকাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাই বলে সাধারণ দান-সদকা কুরবানীর বিকল্প নয়। সামর্থবান সকল মুসলমানকে গুরত্বসহকারে ঈদ-উল-আ্যহায় পশু কুরবানীর মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে ত্যাগের নজরানা পেশ করতে হবে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমালে জটিলতা আরো বাড়বে। এক জায়গায় অধিক ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় হওয়ার সম্ভানা থাকে। তাই করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ সুরক্ষা সমুন্নত রেখে পর্যাপ্ত পশুর হাটের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে রাজধানীসহ শহরাঞ্চলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পশুরহাটের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কোরবানি দাতারা সহজে ও স্বল্প সময়ে কোরবানির জন্য পশু ক্রয় করতে পারে।

কোরবানি উপলক্ষে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যেমন মর্মাহত হবে তেমনি বহু সাধারণ মানুষও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কারণ বহু প্রান্তিক কৃষক সারা বছর গরু-ছাগল পালন করে কুরবানীর সময়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে। এখন যদি এসব গরু- ছাগল অবিক্রিত থেকে যায় তবে বহু সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানিকৃত পশুর চামড়ার দাম নিয়ে যাতে গত বছরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য সরকারকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এ ধরণের অসাধু চামড়া সিন্ডিকেটের কারণে গত বছর বহু চামড়া মাটিতে পুতে ফেলতে হয়েছে, পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এতে চামড়ার অর্থের হকদার গরীব- এতিমরা বঞ্চিত হয়েছে। দেশের চামড়া শিল্পও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

গরীব-এতিমদের বঞ্চিত করার ফল কখনোই শুভ হয় না। তাই চলমান করোনা দুর্যোগের অযুহাতে অসাধু চামড়া সিন্ডিকেট যাতে চামড়ার মূল্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং এ বছর যাতে চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হয় তার জন্য সরকারকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের চামড়া ক্রয়ের জন্য বিনা সুদে ঋণ দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে চামড়ার বাজার মনিটরের ব্যবস্থা করতে হবে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ