আওয়ার ইসলাম: লকডাউনের নিয়ম ভেঙে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে দেশটিতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনা করতে গিয়ে কেউ কেউ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেন।
যদিও করোনা মোকাবেলায় দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তারপরও সমালোচনাকে মাথা পেতে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ার বিষয়ে ভীষণ লজ্জিত ডেভিড ক্লার্ক। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন- আমি স্বীকার করছি, এটা নির্বোধের মতো একটা কাজ হয়েছে। আমার মতো দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এভাবে আইন লঙ্ঘন করাটা অন্যায়। আমি তাই পদত্যাগ করলাম।
নিজে লকডাউন ভঙ্গ করা ছাড়াও আরো একটি কারণে সমালোচনার শিকার হয়েছেন ডেভিড ক্লার্ক। সীমান্তে কয়েকজন ভ্রমণকারীকে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার আগেই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর দায় চাপান স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের ওপর। নিউজিল্যান্ডে এভাবে দায় চাপানোকে ভালোভাবে নেওয়া হয় না, তাই তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন ডেভিড ক্লার্ক।
জানা যায়, নিজে লকডাউন ভাঙার পর একবার প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন। তবে তখন প্রধানমন্ত্রী সেই আবেদন গ্রহণ করেননি। তবে এবার অন্যের ওপর দায় চাপানোর বিষয়টাকে প্রধানমন্ত্রীও ভালোভাবে নেননি। তাই পদত্যাগপত্র গ্রহণে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।
-এটি