মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৭ শাওয়াল ১৪৪৫


জ্বর পরবর্তী দূর্বলতা ও করণীয়!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডা: হাফেজ মুহাম্মাদ ইব্রাহীম মাসুম বিল্লাহ ।।

সাধারনত জ্বর হয়েছে আর তার পরবর্তী দূর্বলতা অনুভব হয়নাই এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুস্কর , তাই আজ জর পরবর্তী দূর্বলতা নিয়ে আলোচনা।

পোস্ট ভাইরাল সিন্ড্রোম বা পোস্ট ভাইরাল ফ্যাটিগ সিন্ড্রোম কি?পোস্ট ভাইরাল সিন্ড্রোম বা পোস্ট ভাইরাল ফ্যাটিগ সিন্ড্রোম মানে হলো কোন ভাইরাস জ্বর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী বিরামহীন ক্লান্তি ও দূর্বলতা অনুভূত হওয়া , যা সপ্তাহ থেকে মাস পর্যন্ত গড়াতে পারে।
উপসর্গ কি ?

দূর্বলতা (fatigues), ক্লান্তি ভাব (tiredness), কোন কিছু ভালো না লাগা (feeling un well), নিজের যত্ন ঠিকভাবে নিতে না পারা (take careless), মনে সব সময় ধন্দ থাকা (confusione), কোন কিছুতে সঠিকভাবে মনযোগ দিতে না পারা (trouble concentration),

কারণ কি ?
Epstein-Barr virus, Human herpes virus 6, human immunodeficiency virus, enterovirus, rubella, West Nile virus, Ross River virus, দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর সাধারন এই সমস্যা হয়, এই সমস্যার নির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করা না গেলেও কয়েকটি মত পাওয়া যায়।

১। ভাইরাসের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় কিছু ভাইরাস লেটেন্ট বা সুপ্ত থেকে যায় শরীরে (virus can remain latent in body)।

২। প্রো ইনফ্লামেটরি সাইটোকাইনেস এর পরিমান বেড়ে গেলে তা পরবর্তীতে শরীরে প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি করে (pro inflammatory cytokines promotes inflammation), ৩। স্নায়ুর প্রদাহ (nervous tissue inflammation)

এই রোগের সাথে অন্য কোন রোগের সিমিলারিটিস আছে? জি অবশ্যই আছে, সাধারনত ডায়াবেটিস, থায়রয়ডের সমস্যা( hypothyroidism), হার্টের সমস্যা (cardio vascular disorder) এবং রক্ত শূন্যতার (anaemia),সাথে এর মিল পাওয়া যায়, যার জন্য আপনার চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে আপনাকে রক্ত বা প্রশ্রাবের পরীক্ষা দিতে পারেন, (A blood, urine test and exercise tolerance taste can help to rule out common sources of fatigue, including hypothyroidism, diabetes, Cardiovascular disorder or anemia.)

চিকিৎসা কি?

পোস্ট ভাইরাল ফ্যাটিগ সিন্ড্রোম সহ যে কোন শারিরীক সমস্যায় রেজিস্ট্রাড চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরী, আপনার চিকিৎসক নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার সঠিক রোগ নির্ণয় করবেন এবং রোগ নিরুপনের মাধ্যমে ব্যবস্থা পত্র দিবেন, এছাড়াও ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা পরামর্শ প্রয়োজনে তিনি দিতে পারেন,

ঘরোয়া চিকিৎসা পরামর্শ কি আছে? ১।প্রতিদিন রাতে অবশ্যই ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো ২। দিনের বেলায় প্রয়োজনে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া, ৩। পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খাওয়া ৪। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে কিছু হাল্কা ব্যায়াম করা ৫। অবশ্যই ব্যলেন্স ডায়েট, পুষ্টিকর
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এমন খাবার গ্রহন করা।

৬। ভারী খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার, যেমন ভাজা পোড়া ও ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে, ৭। প্রয়জনে মধু ও কালো জিরা খাওয়া যেতে পারো।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ