বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার ৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

করোনায় মৃত্যুতে ঢাকাকে ছাড়িয়ে গেল চট্টগ্রাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণের তালিকায় এ বিভাগটি দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও মৃত্যুর দিক দিয়ে ইতোমধ্যে তালিকায় শীর্ষে থাকা ঢাকা বিভাগকে ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় সংক্রমিত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৮৮৮ জন। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫২১ জন চট্টগ্রাম বিভাগে। এরপরই অবস্থান করছে যথাক্রমে ঢাকা বিভাগ ও রাজধানী ঢাকা শহর। সেখানে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০৬ ও ৪৫৯ জন।

এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৮৩ জন, সিলেট বিভাগে ৭৬ জন, খুলনা বিভাগে ৭৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৮ জন, রংপুর বিভাগে ৫১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সংখ্যা মাত্র ৮টি। এসব হাসপাতালে মোট বেড রয়েছে ৬৯৭টি। এর মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতালে ৪৮২টি এবং চারটি বেসরকারি হাসপাতালে ২১৫টি বেড রয়েছে।

সরকারি হাসপাতালের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ২০০টি, বিআইটিআইডিতে ৩২টি, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১৫০ এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল ১০০টি বেড রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১০০টি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৮টি, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ৪৭টি এবং ফিল্ড হাসপাতালে রয়েছে ৪০টি বেড।

আর এসব হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত মুমূর্ষু রোগীদের জন্য মাত্র ৩৫টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৬টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে ১৯টি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেড না থাকায় হাসপাতালে রোগীর ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক রোগীকেই ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। ফলে তারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ