বেলায়েত হুসাইন: পূন্যভূমি ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যই অন্যতম উপায় বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর আলি আরবাশ। তিনি বলেছেন, একমাত্র বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্যই ইসরায়েলের দখলনীতি বন্ধ করতে পারে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ জুন) ফিলিস্তিনের 'দ্যা কোর্ট অব জাস্টিজ' আয়োজিত 'দখলদারির বিরুদ্ধে শান্তির সমর্থন' শীর্ষক একটি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। কনফারেন্সে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযোজন পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়।
প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ধর্মীয় এই বিশেষ মুখপাত্র আরও বলেন, যখন পূন্যময়ী নগরী আল কুদস (জেরুসালেম) মুসলমানরা শাসন করেছেন, তখন এটি ছিল নানা বর্ণ গোত্র ও ধর্মের মানুষের সহাবস্থান, একে অন্যের প্রতি সহনশীলতা ও ন্যায়পরায়ণতার উৎকৃষ্ট নগরী। কিন্তু আজ আল কুদস আর প্রাণবন্ত নেই; ইহুদিবাদী ইসরায়েল জেরুসালেমে অবস্থানরত মুসলমানদের ওপর অব্যাহতভাবে বিভিন্ন জুলুম-নির্যাতন ও সহিংসতা চালাচ্ছে।
আলি আরবাশের দাবি, দখলদাররা আল কুদসের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তার ইসলামি পরিচয়টি বিলুপ্ত করার পায়তারা করছে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ তার অবৈধ দেশের অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন এবং জুলাইয়ে তার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
পশ্চিম তীরের বেশ কিছু এলাকা যেখানে ইহুদী বসতি রয়েছে, সেসব এলাকার ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব বিস্তার করতে চান নেতানিয়াহু। তার পরিকল্পনা যদি সম্পন্ন হয়, তাহলে পশ্চিম তীরের ৩০% ইসরায়েলের অন্তর্ভূক্ত হবে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ আরবি
-এএ