বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


‘চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ টোটালি রং’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় সংসদে মন্ত্রী বলেন, আমি খোঁজ নিয়েছি। কাল (সোমবার) রাতে আমি এটা দেখেছি। ৫০টি হোটেল ভাড়া হয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৭শ’ মানুষ এক মাস থেকেছেন। প্রত্যেকটি রুমের ভাড়া ১১০০ টাকা। খাওয়ার খরচ যেটা বলা হয়েছে- তা টোটালি রং। সেখানে দিনের তিনটি মিলের জন্য ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিয়ে করোনাকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই আলোচনায় অংশ নেন– জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, মুজিবুর রহমান (চুন্নু), রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির মো. হারুন অর রশীদ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পীর ফজলুর রহমান বলেন, জনগণ মনে করছে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘মিনা কার্টুনের টিয়া পাখির’ দ্বারা চলছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডাক্তারদের খাবার বিল নিয়ে সংসদে কথা বলেছেন। সেখানে একটি কলার দাম দুই হাজার টাকা, একটি ডিমের দাম এক হাজার টাকা। একটি ব্রেডের এক স্লাইসের দাম তিন হাজার টাকা, দুই স্লাইস ছয় হাজার টাকা। করোনাকালেও স্বাস্থ্য খাতে এ অবস্থা।

তিনি বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরি। গ্রামের মানুষ আমাকে বলেছেন– আপনি তো সংসদে কথা বলতে পারেন। আপনি প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে দিতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দেয়ার কথা বলেছেন সাধারণ জনগণ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে মানুষের এই কথাটি জানালাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিরোধীদলীয় সদস্যের বক্তব্য মন দিয়ে শোনেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ