শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট কার্যকর: বিএসএমএমইউ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা র‌্যাপিড ডট কিটকে কার্যকর নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তবে মুখে এই কথা বললেও তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে কিন্তু অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় এই কিটের কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংক্রমণ সাত দিনের কম হলে শরীরে করোনার উপস্থিতি এই কিট দিয়ে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। বিএসএমএমইউর আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং সাত দিনের কম সময় ধরে উপসর্গ রয়েছে, এমন ১০০ জন রোগীকে এই দ্রুত শনাক্তকরণ কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, শুধু ১১ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে সঠিকভাবে সংক্রমণ শনাক্ত করা গেছে।

সংক্রমিত হওয়ার পর দিন যত যাবে, ততই কিটের সেনসিটিভিটি বাড়বে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ কত শতাংশ কোভিড-১৯ পজেটিভ নমুনা সঠিকভাবে শনাক্ত করেতে সক্ষম হয়েছে এই কিট, তা বুঝা যাবে।

এক্ষেত্রে ৮ থেকে ১৪ দিন ধরে করোনা আছে- এমন ১০০ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই কিট ৪১ জনের শরীরে অ্যান্টিবডি শনাক্ত করতে পেরেছে। আর ৫৯ জনেরটা পারেনি। আবার ১৪ দিন যাবৎ উপসর্গ নেই, এমন ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ৭৬ জনের শরীরে অ্যান্টিবডি শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ আক্রান্ত হয়ে সুস্থতার পথে, এমন ব্যক্তিদের শনাক্তে এই কিটের সেনসিটিভিটি ৭০ শতাংশ।

আর ১৮ দিন যাবত উপসর্গ নেই- এমন রোগীদের ‘৯৫ শতাংশ কনফিডেন্স ইন্টারভাল’ ৬০.১৯ শতাশ থেকে ৭৮.১৬ শতাংশর মধ্যে। তার মানে পরীক্ষাটি যদি পুনরায় করা হয় তাহলে সেনসিটিভিটির ফলাফলের সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ এই দলের জন্য সেনসিটিভিটি ৭৮ দশমিক ১৬ শতাংশ পর্যন্ত উঠতে পারে।

ওষুধ প্রশাসনকে দেয়া বিএসএমএমইউর সুপারিশে বলা হয়েছে, যেখানে আরটি-পিসিআর ল্যাবের ব্যবস্থা নেই, সেখানে আক্রান্ত রোগীদের অসুস্থতার দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং করোনার উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পিসিআরও পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছে, সেসব জায়গায় এই কিট কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর