শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


এ ভাইরাস আপনাকে সংক্রমিত করবেই, এর থেকে মুক্তি নেই : বিজন শীল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে কেউ রক্ষা পাবে না, তবে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন এই ভাইরাস শনাক্তের কিট উদ্ভাবন করা বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল।

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন করোনাভাইরাস পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের র‌্যাপিড টেস্ট কিট আবিষ্কারক দলের প্রধান বিজন কুমার শীল।

এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় যখন আসে তখন সে সব গাছের ওপরেই প্রভাব ফেলে। দুর্বল গাছ ভেঙে যায়, শক্তিশালীগুলো টিকে থাকে। করোনাভাইরাসও আমাদের কাউকেই ছাড়বে না, আমরা যতই পালিয়ে থাকি না কেন। তবে আমরা বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে যাব। যারা অন্য রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য এটি বেশি ক্ষতির কারণ হবে।’

দেশে করোনা বেশি ছড়ানো কারণ জানাতে গিয়ে বিজন কুমার শীল বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার সময়ে উপসর্গহীন মানুষের স্যালাইভাতে করোনা পেয়েছি এবং অনেক বেশি পরিমাণে পেয়েছি। কোরিয়ার দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন তারা ম্যাসিভ পরিমাণে পরীক্ষা করেছে। তারা র‌্যাপিড কিট ব্যবহার করেছে এবং করছে। তারা ভাইরাসটি ছড়াতে দেয়নি। আমাদের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সরকার চেষ্টা করার পরেও মানুষ চলাচল করছে। ফলে ভাইরাস ছড়াচ্ছে।’

বিজ্ঞানী বলেন, ‘আমি গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে লিখেছিলাম, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখন একটাই পথ খোলা, আর তা হলো, “হাইপার-ইমিউন থেরাপি” বা “প্লাজমা থেরাপি”। এর মাধ্যমে অনেক সংবেদনশীল রোগীদেরও সুস্থ করা যেতে পারে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার পর এখন যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। যা ভাইরাসটিকে প্রতিহত করতে সমর্থ।’

বিজন কুমার আরও বলেন, ‘এর থেকেও ভালো একটি পদ্ধতি আছে। করোনা রোগীর শরীরে যদি করোনা থেকে সুস্থ হওয়া কারো রক্ত দেওয়া যায়, তাহলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে দুই জনের রক্ত ম্যাচ করতে হবে। রক্ত দিলে ভালো হবে। কারণ, রক্তের অ্যান্টিবডি ‘ভাইরাস যাতে বাড়তে না পারে’ তা নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তের প্লাজমা সেল অ্যান্টিবডি তৈরি করে।

প্রতি সেকেন্ডে তা দুই হাজার অ্যান্টিবডি তৈরি করে। সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর শরীরে আরেকটি সেল থাকে, তা হলো মেমরি সেল। এটি খুব দ্রুত প্লাজমা সেল তৈরি করে। যার কারণে প্লাজমা থেরাপি ভালো হলেও তার চেয়েও ভালো সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর রক্ত দেওয়া। এর ফলে ত্রিমুখী আক্রমণের মাধ্যমে ভাইরাসকে প্রতিহত করা যাবে।’

‘এই রোগ মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে মনোবল। মনোবল শক্ত থাকলে তা শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে’, বলেন বিজন কুমার।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ