বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

‘ক্ষমতার লোভে’ মুসলিম শাসকগণ মুসলমানদের সাথে গাদ্দারী করছে।

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা নাঈম আহমদ।

বর্তমান বিশ্বে যত জায়গায় মুসলমানগণ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে/হচ্ছে, এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের উপর সংখ্যালঘু অমুসলিমদের কর্তৃত্ব চলছে অথবা সংখ্যালঘু মুসলিমদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে তা সবকিছুই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও নীলনকশার ফসল।

বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মমতা ও নির্লজ্জতার শিকার ফিলিস্তিন ও গাজার মুসলমানেরা। পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ায় তাকালেই চোখের কোণে নোনাজল জমাট বেঁধে যায়। আমাদের মুসলিম ভাই-বোনেরা খুন, হত্যা, ধর্ষণের শিকার। শিশুরাও আজ নিরাপদ নয়। সবচে' বড় কষ্টকর হলো, মায়ের সামনে শিশুকে টেনে-হেঁচড়ে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন। কিন্তু ফিলিস্তীনে এগুলো আজ খুবই সাধারণ! গত মা দিবসে ও এক মা সকালে ঘুম থেকে উঠে ত্রানের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রান নিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে গেলেন। কারণ, তার সন্তান ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি ও বোমা হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়িত। ডাক্তাররা বলেছেন, শিশুটি প্রাণে বেঁচে গেলেও সারা জীবন পঙ্গু হয়ে থাকতে হবে। আহ!

মায়ের সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের খুন করা হচ্ছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারির ঘটনা, ২৭ বছরের যুবক মুহাম্মদ আল-নাঈম, যাকে ইসরায়েলি সেনারা হত্যা করে। এতেই তারা থেমে যায়নি; বরং তার মৃত দেহের উপর চালায় অমানবিক অত্যাচার। বোলডোজার দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে আল-নাঈমের লাশটি!! আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার আইন কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেনি তারা। তার মা বলেন, এর আগের দিন রাতেই সে আমাকে বলেছিল, আমরা একসাথে দুপুরের খাবার খাবো।

সেই জন্য আমি মাংস রান্না করছিলাম তার জন্য। কিন্তু এক ভিডিওতে দেখলাম, তারা আমার সন্তানকে হত্যা করে তার মরদেহর ওপর অমানবিক কাজ করছে। আহ! এরকমই প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনী শিশু, যুবক, মা-বোনেরা। (এরকমই প্রতিনিয়িত পত্রিকায় ভেসে উঠছে ভাই-বোনদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নের চিত্র।

এক পরিসংখ্যান বলছে, ফিলিস্তীন ও গাজায় প্রায় ৫০ হাজার পঙ্গু লোক আছেন। যারা বিভিন্ন সময় ইসরায়েলী বাহিনীর নির্যাতনের শিকার।

আহ! জমাট বেঁধে চোখের কোণে নোনাজল। অশ্রু ফেলেই বা কী হবে! কিছুই করতে পারছি না আমরা। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো আজ নিরবতার দায়িত্ব পালন করছে।

ইসলামকে ঘায়েল করার জন্য ইসলাম বিদ্বেষীরা সার্বাত্মক চেষ্টা করছে। ইসলামকে ঘায়েল করতে ইসলাম বিদ্বেষীরা দুর্বল ঈমানদার কিছু মুসলমানদেরকেই ব্যবহার করছে। আর তখন মুসলিম শাসকগণ নাক ডেকে ঘুমিয়েছে/ঘুমোচ্ছে। ক্ষমতার লোভে তারা মুসলমানদের সাথে গাদ্দারী করেছে। তারা ভূলে গেছে যে, মহা বিভীষিকাময় দিন স্রষ্টার সামনে হাজিরা দিতে হবে। সেই দিন আমাদের জবাবদিহিতা করতে হবে। কড়ায়-গন্ডায় হিসাব দিতে হবে। হিসাব-নিকাশ সমাপ্ত হওয়ার পূর্বে এক চুল পরিমাণও নড়তে পারবো না।

লেখক: তরূণ আলেম। ১০ নং দেবপাড়া (ইউনিয়ন), নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ