শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


কওমি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি মুফতি আশরাফুজ্জামানের বিশেষ আহ্বান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বে নেমে এসেছে এক ভয়াবহ বিপর্যয়। এ বিপর্যয় থেকে পরিত্রান পাওয়ার কোন লক্ষণ আপাতত পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।

কওমী মাদরাসা ও সংশ্লিষ্ট উলামায়েকেরাম এ মহা বিপদের বাইরে নয়। বরং বলা যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ জনগোষ্ঠি। বর্তমানে কওমী মাদরাসাগুলো অনেকটা অস্তিত্বের সংকটে পরেছে। তাই কিভাবে কওমি মাদরাসাগুলো রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার শিক্ষা সচিব ও মুহাদ্দিস মুফতী আশরাফুজ্জামান কওমি শিক্ষার্থীদের প্রতি একটি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন। আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য মুফতী আশরাফুজ্জামানের লিখিত আহ্বানটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই-বোনেরা! বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বের সর্বত্র নেমে এসেছে এক ভয়াবহ বিপর্যয়। এ বিপর্যয় থেকে মানবজাতি কবে কিভাবে পরিত্রান পাবে তা একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই ভাল জানেন। মালিকের দরবারে এ থেকে পরিত্রানের জন্য দু’আ অব্যহত রাখি সকলে।

আমাদের কওমী মাদরাসা ও সংশ্লিষ্ট উলামায়েকেরাম এ মহা বিপদের বাইরে নন। বরং বলা যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ জনগোষ্ঠি। বর্তমানে কওমী মাদরাসাগুলো অনেকটা অস্তিত্বের সংকটে পরেছে। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমাদেরই দু’আ ও চেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে। কোন বিধর্মী বা ইসলাম বিদ্বেষি শক্তি তো দূরে থাক সাধারণ মুসলমান ভাইয়েরাও বিষয়টি নিয়ে ততটা চিন্তিত নয়। সুতরাং আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে ।

কওমী মাদরাসাগুলো বিপন্ন হলে মুসলিম জাতির কতটা ক্ষতি হবে তা কল্পনা করাও মুশকিল। তাই কিভাবে মাদরাসাগুলো রক্ষা করা যায় প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে সেই চিন্তা ও প্রচেষ্টা চালানোর বিকল্প নেই। আমাদের অনেকের পরিবার নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী নিজেদের খরচ চালিয়ে যাচ্ছে। কোনরকম নুন ভাতের ব্যবস্থা হচ্ছে। তবে আমরা যারা মাদরাসায় পড়াশুনা করি তারা সবাই দরিদ্র শ্রেণীর এমন নয়। আমাদের মাঝে আর্থিকভাবে সচ্ছল, মধ্যবিত্ত সহ সব শ্রেণীর মানুষ রয়েছে। আমরা আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করলে মাদরাসাগুলো সচল রাখার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবো ইনশাআল্লাহ। কষ্টকর মনে হলেও দ্বীন রক্ষার তাগিদে মাদরাসাগুলোকেও নিজ পরিবারের অংশ মনে করে সাধ্য অনুযায়ী যদি কিছু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করি তাহলে মাদরাসাগুলো সচল থাকবে ইনশাআল্লাহ।

অতএব ছাত্র ভাই- বোনদের প্রতি আবেদন-
১। প্রত্যেকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি হয়ে যাওয়া চাই। গত বছর যে মাদরাসায় পড়া-শুনা করেছে বড় ধরনের কোন অসুবিধা না থাকলে আল্লাহর উপর ভরসা করে সে মাদরাসাতেই ভর্তি হয়ে যাওয়া। যাদের পক্ষে সম্ভব তারা ভর্তি ফি বাড়িয়ে দিবো।

২। গত রজব, শাবান ও চলতি রমজান মাসের বেতন বা আবাসিক চার্জ যতোটুকু সম্ভব আদায় করবো।

৩। নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য দ্বীনদরদী ভাইদের থেকে জাকাত ও অন্যান্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করে মাদরাসা ফান্ডে জমা করার চেষ্টা করবো।

আন্তরিক ভাবে উদ্দোগগুলো গ্রহণ করলে প্রতিটা মাদরাসা সচল থাকবে ইনশাআল্লাহ । মহান মালিক আমাদেরকে তাউফিক দান করেন। আমীন

আহ্বানে- মুফতী আশরাফুজ্জামান, নাজেমে তালীমাত, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, সাতমসজিদ মোহাম্মাদপুর ঢাকা ১২০৭।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ