শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


এ কঠিন সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া উচিত!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এইচ এম আদনান মাকসুদ ।।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতায় দেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের মায়াজালে আবদ্ধ। একটি দেশ তখন উন্নত দেশ হিসেবে পরিগণিত হয় যখন দেশের অর্থনীতি দুর্বৃত্তায়নের ফাঁদে না পড়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি করতে পারে।

উন্নয়নশীল দেশের প্রধান চালিকাশক্তি হলো উন্নত অর্থব্যবস্তা। দেশের সমৃদ্ধি খুন্ন করতে হলে দেশটির উন্নত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পঙ্গু করে দাও। করোনা ভাইরাসের ফলে দেশ যে অবস্থায় বিরাজমান, তাতে মনে হয় এভাবে চলতে থাকলে অর্থব্যবস্তার চাকা ভেঙ্গে যাওয়া টা অস্বাভাবিক বিষয় নয়।

জাতির এ দুর্যোগকালীন অবস্থায় অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। লকডাউনের পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই অফিস, আদালত দোকান পাট, হাট বাজার, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় বন্ধ। কৃষকদের কাজ নেই।শ্রমিকদের বেতন নেই। রিক্সা ডাইভারদের খাবার নেই। গরিবের ঘরে আগুন নেই। আছে তাদের বুকে হাহাকার। নিস্তব্ধ আর্তনাদ। অপর দিকে মৃত্যুর মিছিল ভারী হতে চলছেই। পেটে ভাত না থাকলে গোলাপ ফুলের ঘ্রাণ ও কাটা যুক্ত মনে হয়।

রুজিরোজগার বন্ধ। কৃষকদের মনে আনন্দ নেই। কিন্তু বাজারে আগুন ঠিকই আছে। গরিবের হাতে টাকা না থাকলে কি হবে? দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি ঠিকই আছে!

করোনা ভাইরাস আসার আগে যে জিনিস বা দ্রব্যটি যে মূল্য ছিল, এখন মূল্যহ্রাস না হয়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। তার একটি নমুনা প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করলাম।

চুনারুঘাট সদর বাজারজাত মূল্য তালিকা আগে আর এখন।
সাবান আগে ২৮ টাকা এখন ৩৫, মুড়ি আগে ৫০ এখন ৭০, মশুরডাল আগে ৬০ এখন ১০০, বুটের ডাল আগে ৩৫ এখন ৪৫, গুরামরিচ আগে ৩৫০ এখন ৪৫০, ৫লিটার সয়াবিন তৈল ৪৭০ এখন ৫৩০টাকা।

এই হলো বর্তমানে বাজারজাত দ্রব্যমূল্যের অবস্থা। যখন দিনমজুর মানুষ গুলো কোন কাজই করতে পারছে না তখন এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে কিভাবে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করবে? তাদের তো কোন কাজকর্ম বলতেই নেই।

অনেকের তো ঘরে খাবার ও নেই। তারা কিভাবে অতিবাহিত করছে দিন, কেউ কী খবর নিচ্ছেন? ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা অর্জিত কিছু টাকা নিয়ে নিত্য দ্রব্যটি ক্রয় করতে পারছে না দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দীপনা হলো প্রত্যেকটা নাগরিক যেন না খেয়ে থাকে, প্রয়োজন মাফিক খাবার তাদের ঘরে পোছে দাও।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গরীবের খাবার দেওয়া লাগবে না আপনি একটু সদয় দৃষ্টি দিবেন দ্রব্যমূল্যের মূল্যহ্রাসের প্রতি?
পরিশেষে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে,পণ্য দ্রব্য কে আটকিয়ে রেখে সিন্ডিকেট এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করে এই ভয়াবহতা থেকে মুক্তি দিতে সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ান। যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের প্রতি আইনী ব্যবস্থা নিন!

বিশ্বব্যাপী এ করোনা ভাইরাসের মরণব্যধী মহামারী থেকে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে গরীব অসহায় মানুষদের কে একটু সাহায্য সহযোগিতা করুন।

শিক্ষার্থী: এম সি কলেজ সিলেট।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ