শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ দেওয়ার দাবি ইসলামী দলগুলোর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট>

করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ন আয় ও মধ্য আয়ের মানুষ। গৃহবন্দি থাকায় কোন কাজে বের হতে পারছে না তারা। এজন্য তাদের পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক পরিমাণ ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হলেও এর বন্টন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গনমাধ্যম গুলোতে ব্যাপক পরিমাণ চুরি ও লুটের খবর আসছে।

নিবন্ধিত ইসলামি দলগুলোর নেতারা মনে করছেন, জনপ্রতিনিধিদের উপর থেকে জনগণ আস্থা হারিয়েছে। তাদের অতীত রেকর্ড ভালো নয়। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ বন্টন পরিচালনা করা গেলে অসহায় মানুষদের মুখে আহার জুটবে। ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ মনে করছেন, বিভিন্ন দুর্যোগের সময় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছিল। অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় তাদের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছতা দেখেছে জনগণ। তাই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা গেলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাবে। এবং নির্ধারিত ত্রাণ অসহায়দের ঘরে পৌঁছাবে।

তিনি বলেন, আমরা অবাক হয়েছি, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা মনে করেছিলাম অসাধু জনপ্রতিনিধিরা অন্তত এই মুহূর্তে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকবে। সংকটের এই সময়ে তারা লোভ সামলাতে পারবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও, আমরা গণমাধ্যমে এর বিপরীত দেখেছি। দেশে ত্রাণ লুটের মহাউৎসব চলছে।

সুতরাং সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি হয়ে উঠছে। আশা করছি সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বারিধারা মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। তাদের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার। এটি সরকারের কাছে জমিয়তের আবেদন।

জনপ্রতিনিধিদের উপর আস্থা হারিয়েছে দেশের মানুষ। সরকারি মালামাল লুটের খবর আসছে। তাদের মাঝে আমানতদারীতা নেই। সুতরাং বারবার জনপ্রতিনিধিদের উপর আস্থা রাখার কোনো কারণ দেখি না। সকল খবর গণমাধ্যমে আসেনা। যেটুকু আসছে ততটুকুই আমাদেরকে অবাক করে দিয়েছে। যদি সব খবর গণমাধ্যমে আসতো তাহলে লুটের পরিমান আরো বেশি হতো। বলছিলেন মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক।

তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা অপরিহার্য দাবি হয়ে উঠছে।" যোগ করেন তিনি।

একই বিষয়ে খেলাফত মজলিসের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল জলিল বলেন, ন্যাক্কারজনক যে কাজটি জনপ্রতিনিধিরা করছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি কাজ। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

একইসাথে ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা সেনাবাহিনীকে মাঠে চাই। জনগণ পূর্ব থেকেই তাদের প্রতি আস্থাশীল। তাদের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করলে দুর্নীতির অভিযোগ কমে আসবে। অনাহারী মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও এই মুহূর্তে এই পদক্ষেপটি হাতে নেওয়া প্রয়োজন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ