শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


'তারাবি নিয়ে শঙ্কায় হাফেজরা'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট>

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বেশকিছু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে জনসমাগম এড়াতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। এ পর্যন্ত সরকারি তথ্যমতে আক্রান্ত, ৮০৩ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৯ জন।

কঠিন এই পরিস্থিতিতে মোবারক মাস রমজান নিকটবর্তী হচ্ছে। সীমিত পরিসরে জুমা ও জামাত আদায় হওয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে তারাবির নামাজ নিয়ে।

দেশের তারকা হাফেজরা বলছেন, তারা তারাবির পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ধোঁয়াশার কালোমেঘ কেটে যাবে, ও উদিতে হবে রমজানের সুখের বার্তাবাহক চাঁদ -এই কামনা তাদের।

মারকাজুত তাহফিজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ নেছার আহমদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পবিত্র কোরআনে কারিমের অধিক তেলাওয়াত হয়। কুরআনের মাস রমজান। ব্যক্তিগত তেলাওয়াতের পাশাপাশি তারাবির নামাজে হাফেজদের সুললিত কন্ঠে পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত শুনে দেশের মুসল্লিগণ আত্মতৃপ্তি পান। ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করেন।

দেশের হাফেজরা তারাবির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সকল হাফেজে কোরআন রমজানের অপেক্ষায় আছেন। হাফেজদের জন্য আনন্দের সময় পবিত্র রমজান মাস। আশা করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবকিছু ঠিক করে দিবেন। আল্লাহ মানুষকে কোরআন থেকে দূরে সরিয়ে দিবেন না। সকল বিপদ আপদ দূর করে এ জনপদকে নিরাপদ নগরী করে দিবেন আবারো -আমাদের এই প্রত্যাশা।

তারাবির নামাজ আমাদের জন্য ঈদানন্দ! ২০১৭ সালের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী হাফেজ তরিকুল ইসলাম বলছেন, আমাদের কাছে রমজান মাসের আনন্দ একটু ভিন্নরকম। রমজান মাস আমাদের হৃদয়ে ঈদের আনন্দ দেয়। সারা বছর অপেক্ষায় থাকি কখন রমজান আসবে। ইচ্ছে মত তেলাওয়াত করতে পারব। রমজান মাসটা আসলে আমাদের মাস।

যদি মসজিদে তারাবি বন্ধ করা হয়, আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। ঈদের আনন্দ বলতে কিছু থাকবে না। আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আমরা কোরআন পড়তে পারবো। তারাবি পড়াতে পারবো। আল্লাহ চাইলে সব কিছুই সহজ করতে পারেন। এবং আমার বিশ্বাস তিনি সহজ করে দিবেন।

২০১৯ জর্ডান কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী হাফেজ সাইফুর রহমান বলেন, আমি ও হাফেজ তরিকুল ইসলাম একই সঙ্গে বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রতিবছর তারাবি পড়াই। কোনো কারণে যদি এবছর তারাবি বন্ধ হয়, সেটা হবে আমাদের জন্য দুঃসময়। যার কষ্ট আমাদেরকে সারাবছর পীড়া দিবে।

আট বছর ধরে নিয়মিত তারাবি পড়াচ্ছি। দূরদূরান্ত থেকে আমাদের মসজিদে মুসল্লীরা নামাজ আদায় করতে আসেন। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হই প্রতিবছর। আশা করছি এ বছরও পড়াতে পারবো। পূর্ব থেকে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখন শুধু রমজানের অপেক্ষায় আছি। কুরআনের মাসের প্রহর গুনছি।

আমরা মুফতিদের সিদ্ধান্ত মেনে নিব! আন্তর্জাতিক হাফেজ নেছার আহমদ বলেন, তবে পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে যায়, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেন, আলেমরা ফতোয়া দেন তাহলে আমাদেরকে তা মেনে নিতে হবে।

দেশ ও মুসলিম জাতির কল্যাণের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষ মুফতিদের সিদ্ধান্তের সাথে অমত করব না। মানুষের কল্যাণে যদি তারা তারাবির নামাজ নিজ নিজ গৃহে আদায়ের পরামর্শ দেন তাহলে আমাদেরকে সেটাও মানতে হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ