শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


শূন্য রেখায় বন্দি সেই নারীর মুক্তি মেলেনি ৬দিনেও, নাগরিকত্ব স্বীকার করছে না কেউ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহা: আ: হান্নান মানছুর
রামগড়, খাগড়াছড়ি :

রামগড়-সাব্রুম সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর শূন্য রেখায় বন্দি মানসিক ভারসাম্যহীন সেই ভবঘুরে নারীর (৩২) মুক্তি মেলেনি ৬দিনেও । দুই দেশের কেউই তার নাগরিকত্ব স্বীকার করছে না।

গতকাল মঙ্গলবার বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার বৈঠকে কোন পক্ষই ঐ নারীর দায়ভার নিতে রাজী হয়নি। ফলে এ বৈঠকও নিষ্ফল হয়। এদিকে প্রচণ্ড রোদ ও অনাহারে অত্যন্ত অমানবিক অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারী এখন নদীর মধ্যবর্তী বালুচরে মৃত্যুর মুখোমুখি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ২ এপ্রিল দুপুরে বিজিবির রামগড় বিওপি সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বিএসএফ জোরপূর্বক রামগড়ে ঠেলে পাঠায়। এ সময় সাব্রুমের কাঠাঁলছড়ি ক্যাম্পের বিএসএফকে সেখানকার গ্রামবাসীরাও সহায়তা করে। খবর পেয়ে বিজিবি ওই নারীকে আটক করে পুনরায় ভারতে পুশব্যাক করে।

কিন্তু বিএসএফের বাধায় সে ফেনী নদী অতিক্রম করতে পারেনি। নদীর মধ্যবর্তী স্থানে বালুচরে ঠাঁই হয় তার। গত বৃহস্পতিবার হতে নদীর ওপারে বিএসএফ এবং এপারে বিজিবি সশস্ত্র প্রহরা বসায়। দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অস্ত্রের মুখে নদীর শূন্য রেখায় বন্দি হয়ে পড়েন ভবঘুরে নারীটি। নদীর বাংলাদেশের তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দরা কিছু খাবার দিচ্ছে তাকে। দিনের বেলায় কাঠফাটা রোদে তপ্ত বালুচরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে সে।

এদিকে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জি এইচ এম সেলিম হাছান ও বিএসএফের উদয়পুরের ডিআইজি জামিল আহমেদ দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে মিলিত হন। ফেনী নদীতে মৈত্রীসেতুর নির্মাণকাজের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী সেতুর উপর দাঁড়িয়ে তারা বৈঠক করেন। বৈঠকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারীর ‘পুশব্যাক’ নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ একে অপরকে দায়ী করেন এবং তার নাগরিকত্ব দুই পক্ষই অস্বীকার করেন।

বৈঠকে রামগড়ের ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তারিকুল হাকিম ও সাব্রুমের ৬৬ বিএসএফের কমান্ডিং অফিসার রাজীব কুমার সিং উপস্থিত ছিলেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ