বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


করোনা ভাইরাস: ঈমানের দাবি ও মুমিনের করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সামাদ ।।

বর্তমান বিশ্বে নতুন এক আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসে ইতিমধ্যে পৃথিবীর শতাধিক দেশ সংক্রমিত হয়েছে। বাংলাদেশ এই সংক্রমিত দেশের অন্তর্ভূক্ত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আল্লাহ উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বজায় রেখে আতংকিত না হয়ে সতর্কতামূলক যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

হাদিসে এসেছে- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহামারীর সংক্রমণরোধে আক্রান্ত অঞ্চলে যাতায়াত নিষিদ্ধ করে বলেছেন, কোথাও মহামারী দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা ছেড়ে চলে এসো না। আবার কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করে থাকলে, সে জায়গায় গমন করো না।

আমাদের দেশেও এখন একই পরিস্থিতি বিরাজমান। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্র সরকারিভাবে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোতে যাতায়াতে সতর্কতা জারি করেছে। চিকিৎসকদের মতে, এ ভাইরাসটি একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে ছড়ায়, তাই অন্যজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত, শরীর স্পর্শ করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস যে জটিল ও বিপদজনক আকার ধারণ করেছে তা নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একটি পরীক্ষা ও আজাব। এটা মানুষের কৃতকর্মের ফল। আল্লাহ তায়ালা এর দ্বারা মুমিনদের ঈমানের পরীক্ষা নিচ্ছেন।

সময়ের দাবি হলো, কোনো বিপদাপদের আভাস পেলেই মুমিন নিজের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তা বর্জন করবে, আল্লাহর দিকে রুজু হবে, নামাজে দাঁড়িয়ে যাবে এবং তাওবা ও ইস্তিগফার করবে।

সর্বপ্রথম যাবতীয় গুনাহ ও পাপাচার বর্জন করা এবং আল্লাহর নিকট অতীত গুনাহের জন্য তাওবা ও ইস্তিগফার করা। পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদের জামাতে ও জুমায় শরিক হওয়া এবং আল্লাহর নিকট এ আজাব হতে মুক্তির জন্য দোয়া করা।

ফিতনার সময়ের জন্য হাদীসে বর্ণিত দোয়া ও আমলসমূহ সপরিবারে করা; অধিক পরিমাণে দোয়ায়ে ইউনুস পাঠ করা। দোয়ায়ে ইউনুস-

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা, সুবহানাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ জলিমিন

বেশি বেশি রোনাজারির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে এই দোয়া পড়তে হবে-

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّءِ الأَسْقَامِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল ঝুনুনি ওয়াল ঝুজামি ওয়া মিন সায়্যিয়িল আসক্বামি।’

এ মুহূর্তে করণীয় হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং আই.ই.ডি.সি.আর নির্দেশিত পন্থায় নিজেদের পরিচালনা করতে হবে এবং প্রয়োজনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে তওফিক দান করুন। আমীন।

লেখক : চেয়ারম্যান, কওমি কাউন্সিল বাংলাদেশ। 

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ