আওয়ার ইসলাম: চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও বাইরের দেশগুলোতে হঠাৎ করেই তা বেড়ে চলেছে। আর বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে চীন বা অন্য কোনো বিষয়ের সাথে তারা স্পষ্ট যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছে না।
সংস্থাটির প্রধান ডা. টেডরস আধানম গেব্রেয়াসাস্র এ বিষয়ে বলেন, ক্রমশই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর মতো সুযোগ সীমিত ও সংকীর্ণ হয়ে আসছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও সংক্রমণের ধরন উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, চীনের বাইরের দেশগুলোতে সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাদুর্ভাবের সাথে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাদুর্ভাবের শিকার এলাকায় ভ্রমণ করার কোনো ঘটনা নেই। এমনকি আগে কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসারও কোনো ঘটনা ঘটেনি। এভাবে সংক্রমণ খুবই উদ্বেগের বিষয়।
আজ শনিবার চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে করোনাভাইরাসে মৃত্যু এবং নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই কমে আসছে। অনেক রোগী হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে আক্রান্ত ২৩৯৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। এ নিয়ে সেখানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২০ হাজার ৬৫৯ জনে।
তবে চীনের বাইরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত ইরানে চারজন, জাপানে তিনজন, হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়ায় দুইজন করে এবং তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ফ্রান্স ও ইতালিতে একজন করে মোট ১৫ জন মারা গেছেন। বিশ্বের অন্তত ২৯টি দেশে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি।
আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাপানে। সেখানে কোয়ারেন্টিন করে রাখা একটি প্রমোদতরীর বাইরে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭০০ এর অধিক মানুষ দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ১৪২ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪৬ জনে। ইতালিতে ১৬ জন নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ইরানে ১৮ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সিঙ্গাপুরে ৫০ এর অধিক, লেবাননে একজন। এছাড়া ইসরায়েল, মিশর, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিশ্বের ২৯টিরও বেশি দেশে করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
-এটি