বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


পাঠক মনে দাগ কাটা পাঁচটি সাপ্তাহিক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুনীরুল ইসলাম ।।

সরকারি অনুমোদিত ও নিবন্ধিত পাঁচটি সাপ্তাহিক। প্রতিটি পত্রিকারই ছিল স্বতন্ত্র পাঠক গোষ্ঠী। কিন্তু সেই পত্রিকাগুলো টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। পাঠক আজও সেই পত্রিকাগুলো খুঁজে ফিরে। পাঠকের মনে দাগ কাটা সেই পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা ও সম্পাদনার দায়িত্বে কারা ছিলেন, কারা লিখতেন, এগুলোর চরিত্র কেমন ছিল এবং কেন বন্ধ হলো এসব গল্পই ছোট্ট করে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই লেখায়।

১. বিক্রম

ঢাকার ডিআইটি এক্সটেনশন রোড থেকে বের হতো সাপ্তাহিক বিক্রম। হোটেল বকশির পেছনের বিল্ডিংয়ের চার তলায় ছিল এর অফিস। ১৯৮৭ সালে শুরু হয় পত্রিকাটির পথচলা। প্রকাশক ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আনোয়ার, সম্পাদক মাসুদ মজুমদার। পর্যায়ক্রমে নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন সুলতান আহমদ এবং শামসুল হুদা এফসিএ। সহকারী সম্পাদক ছিলেন ফরিদ আহমদ রেজা।

এতে নিয়মিত লিখতেন কবি আল মাহমুদ, সৈয়দ আলী আহসান, কবি আবদুস সাত্তার, আ কা ফিরোজ আহমদ, আহমদ আবদুল কাদের, সৈয়দ মবনুসহ মূলধারার অনেক সাংবাদিক। আল মাহমুদের ‘কবির আত্মবিশ্বাস’ গ্রন্থটি মূলত বিক্রমে প্রকাশিত কলামেরই সঙ্কলিত রূপ। পত্রিকাটির প্রচ্ছদ ও কার্টুন করতেন ক্যালোগ্রাফি শিল্পী আরিফুর রহমান।

বিক্রম ছিল আশির দশকের বেশ সাড়া জাগানো পত্রিকা। এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে পত্রিকাটি বিপ্লবী ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি এটি আমেরিকা, রাশিয়া এবং ভারত-বিরোধীও ছিল। তখন এটির পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি সার্কুলেশন ছিল বলে জানা যায়। বিক্রম প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বেশির ভাগই তখনকার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ইসলামী যুব শিবিরের কর্মী ও সমর্থক ছিলেন। পত্রিকাটি ইরানি বিপ্লব দ্বারা প্রভাবিত ছিল বলে অনেকে মনে করেন।

আশির দশকে বাংলাদেশে বিচিত্রা, বিচিন্তা, চিত্রবাংলা, বেগমসহ বেশকিছু ম্যাগাজিন জাতীয় পর্যায়ে পাঠকপ্রিয় ছিল। তবে মানসম্মত রাজনৈতিক ম্যাগাজিন বলতে প্রথমে শফিক রেহমানের সাপ্তাহিক যায়যায়দিন, পরে সাপ্তাহিক বিক্রম এসে যায়যায়দিনের পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান তৈরি করে। বিক্রম ছিল ডান কিংবা ইসলামপন্থীদের ম্যাগাজিন, আর যায়যায়দিন বামদের।

বিক্রমে খুব একটা বিজ্ঞাপন থাকত না, ফলে অর্থনৈতিক সংকট ছিল। এরই মধ্যে সম্পাদক মাসুদ মজুমদারের বাইপাস সার্জারি হয়। পরে সুস্থ হয়ে নয়া দিগন্তে যোগ দেন। ধীরে ধীরে পত্রিকাটি বিলুপ্তির দিকে যেতে থাকে এবং ২০০৪ সালের দিকে এটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।

২. মুসলিমজাহান

ঢাকার ৩৮/২ বাংলাবাজার থেকে বের হতো সাপ্তাহিক মুসলিমজাহান। ১৯৯০ সালের শেষের দিকে শুরু হয় পত্রিকাটির পথচলা। এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদনা পরিষদের সভাপতি ছিলেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ., সম্পাদক ছিলেন তাঁর ছেলে মোস্তফা মঈনুদ্দীন খান। সম্পাদনা বিভাগে কাজ করেছেন উবায়দুর রহমান খান নদভী, সালেহ উদ্দিন জহুরী, ড. মুহাম্মদ সিদ্দিক, মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, শরীফ মুহাম্মদ, শহীদুল ইসলাম, সমর ইসলাম প্রমুখ।

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলনও পত্রিকাটিতে খন্ডকালীন সম্পাদনার কাজ করেছেন এবং লিখেছেন বলে জানা যায়। এছাড়া শফীউদ্দীন সরদার, ফরাজী জুলফিকার হায়দার, আসকার ইবনে শাইখ, এজেডএম শামসুল আলম, আজিজুল হক বান্না এবং ফজলুদ্দীন শিবলীর মতো গুণী লেখকরা এটিতে কলাম লিখতেন।

বিশেষ করে শফীউদ্দীন সরদার ও ফরাজী জুলফিকার হায়দারের ধারাবাহিক উপন্যাস ও গল্প ছাপা হতো পত্রিকাটিতে। এখানে লেখালেখির কারণেই তারা অজপাড়াগাঁয়ে থেকেও বিখ্যাত হয়েছেন বলে দাবি মুসলিমজাহান কর্তৃপক্ষের।

বলা যায়, ইসলামি ঘরানার বিশিষ্ট লেখকদের সম্পাদনার হাতেখড়িও হয়েছে এই পত্রিকাটিতে। আরও লিখতেন অধ্যাপক ফজলুল হক, কবি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মোসাম্মত কবিতা সুলতানা, ফাতিমা আলী, সুলতানা পারভীন, খালিদ বিন ওলিদ প্রমুখ।

পত্রিকাটির নামের প্রতি সুবিচার করে মুসলিমবিশ্বের সমকালীন খবরাখবর, আন্তর্জাতিক ইস্যুর বিশ্লেষণ এবং সাধারণ জনগণের দাবি-দাওয়ার পক্ষে এতে জোরালো কলাম ছাপা হতো। আর ধারাবাহিক ঐতিহাসিক উপন্যাস ছিল পত্রিকাটির চাহিদার বিশেষ কারণ। গল্প কবিতাও ছাপা হতো এবং ‘কিশোরজাহান’ নামে একটি বিভাগ ছিল। তখন এখনকার মতো এতো পত্রপত্রিকা না থাকায় সাপ্তাহিক মুসলিমজাহান বেশ সাড়া ফেলেছিল।

২০১৩ সালের দিকে সরকারি চাপের মুখে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ করে দেয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। পত্রিকাটির বয়সকালে অর্ধেক সময়ে ট্যাবলয়েড এবং অর্ধেক সময়ে ম্যাগাজিন আকারে প্রকাশিত হয়। জাতীয় দৈনিকের মতো ঢাউস সাইজের ঈদ সংখ্যাও প্রকাশ করে পত্রিকাটি।

৩.লিখনী

প্রথম ঢাকার ৮৭ ইসলামবাগ থেকে বের হতো সাপ্তাহিক লিখনী। ১৯৯৪ সালে শুরু হয় পত্রিকাটির পথচলা। তখন এর সম্পাদক ছিলেন গাজী আতাউর রহমান, নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন শাহ ইফতেখার তারিক এবং প্রকাশক ছিলেন মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। সম্পাদনা পরিষদসহ নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী, কাওছার আবদে রাব্বী, ইতালি থেকে বিবর্ণ পলাশ এতে নিয়মিত কলাম লিখতেন। তখন এটি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের প্রকাশনা হিসেবে ট্যাবলয়েড সাইজে প্রকাশিত হতো। সারাদেশের ছাত্র আন্দোলনের জেলা ও থানা দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রচার করা হতো।

দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৩ সালে ১৭ পুরানা পল্টন থেকে নতুন উদ্যমে শুরু হয় পত্রিকাটির প্রকাশনা। একঝাঁক মেধাবী তরুণ লেখকের হাত ধরে ম্যাগাজিন আকারে নিয়মিত বের হতে থাকে এটি। নতুন রূপের প্রথম সংখ্যাটি বের হয় ২০১৩ এর ২৬ মার্চ। তখন এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন শাহ ইফতেখার তারিক ও নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন কবি মুহিব খান। এছাড়া সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর, রোকন রাইয়ান, এইচ এম ফারুক, এহসান সিরাজ, তানভীর এনায়েত, রায়হান মুহাম্মদ ইবরাহীম সম্পাদনা ও প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অঙ্গসজ্জার দায়িত্বে ছিলেন শাকীর এহসানুল্লাহ ও কাজী যুবাইর মাহমুদ।

পত্রিকা-সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও এতে লিখতেন উবায়দুর রহমান খান নদভী, ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী, সৈয়দ মবনু, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, নোমান বিন আরমান, কাজী অবুল কালাম সিদ্দীক, মনযূরুল হক, পলাশ রহমান প্রমুখ।

তখন দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে একশ্রেণির পাঠকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছিল পত্রিকাটি। কাটতিও ভালো ছিল। দুটি ঢাউস সাইজের ঈদ সংখ্যাও বের করে এটি। নবীন-তরুণদের জন্য ‘কিশোর তারুণ্য’ নামে ভিন্ন একটি পত্রিকাও শুরু করেছিল পত্রিকাটি। আর্থিক গচ্ছা এবং কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে ২০১৫ সালে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। ১৫ জুন এটির সর্বশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয় বলে জানা যায়। পত্রিকাটি ফেয়ার মিডিয়া লিমিটেড থেকে বের হতো।

৪.ইসলাহ

‘সময়, সমাজ ও ইসলামি চেতনার সমন্বয়’ স্লোগানকে ধারণ করে ঢাকার ৩/ক পুরানা পল্টন থেকে বের হতো সাপ্তাহিক ইসলাহ। ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হয় পত্রিকাটির পথচলা। এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হান্নান আল হাদীসহ আরও কয়েকজন এর সম্পাদকীয় উপদেষ্টা ছিলেন। সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন কাবার পথের সম্পাদক সাইফউদ্দিন ইয়াহইয়া। নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন এবিএম শেহাবউদ্দিন শেহাব। সময়ে সময়ে সম্পাদনা বিভাগে যুক্ত ছিলেন আইনুদ্দীন আল আজাদ, মুহম্মদ মুনীরুল হক, আশরাফ বিন ইয়াহইয়া, এনামুল করীম ইমাম প্রমুখ। শেষের দিকে এবিএম শেহাবউদ্দিন শেহাব ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন।

বলা যায়, তখন তিনি একাই ১১৬ নয়াপল্টন থেকে পত্রিকাটি বের করতেন। এতে লিখতেন মাওলানা লিয়াকত আলী, মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, ওয়ারিস রব্বানী, মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী, লাবীব আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক মুহাম্মদ ফজলুল হক, শাহ ইফতেখার তারিক, মুনীরুল ইসলাম, মুহাম্মদ কাসেম, মুহাম্মদ আবু সাঈদ সরকার প্রমুখ।

শেষের দিকে ডিজাইনার আশরাফুল ইসলাম পত্রিকাটির মেকাপ করতেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় এতে উঠে আসত। ইসলাম ও দেশ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে জোরালো কলাম ছাপা হতো। পাশাপাশি ধারাবাহিক উপন্যাস, গল্প এবং ছড়া-কবিতাও ছাপা হতো।

‘শিশু-কিশোর-টিনেজার’ নামে ছোটদের জন্য একটি বিভাগ ছিল। এটিও প্রথম দিকে ট্যাবলয়েড সাইজে বের হতো। শেষের দিকে এসে ম্যাগাজিন আকারে বের হয়েছে। পত্রিকাটি লাভজনক ছিল না। ব্যক্তিগত আগ্রহ, দায়বোধ এবং কিছু বিজ্ঞাপনের সহযোগিতায় এটি বের হতো। পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক সাইফউদ্দিন ইয়াহইয়া নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে ২০১০ সালে এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।

৫.জাগো প্রহরী

‘বিবেক জাগানিয়া সাপ্তাহিক’ স্লোগানকে ধারণ করে ঢাকার ১/এ পুরানা পল্টন থেকে বের হতো জাগো প্রহরী। ২০০৮ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছিল পত্রিকার পথচলা। এটির সম্পাদকম-লীর সভাপতি ছিলেন মাহবুবুর রহমান টুকু। উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন মাসুদ মজুমদার, রূহুল আমীন খান, সঞ্জীব চৌধুরী ও মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

সম্পাদক ছিলেন পরপর জাগো মুজাহিদ, রহমত ও ইসলামি পয়গামের সম্পাদক মনযূর আহমাদ। সহকারী সম্পাদক ছিলেন মুফতি এনায়েতুল্লাহ। সম্পাদনা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে আরও ছিলেন মনজুরে মাওলা, সালমান আহমাদ, মাসউদুল কাদির, সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর, মাসউদুযযান শহীদ। শিল্প সম্পাদক ছিলেন হা মীম কেফায়েত। পত্রিকা পরিবার ছাড়াও এতে লিখেছেন ফয়জুল আল আমীন, ফযিলা আশরাফ, হাসানুল কাদির, নোমান বিন আরমান, জসীমউদদীন আহমাদ, জিয়াউল আশরাফ, আলাউদ্দিন বিন সিদ্দিক প্রমুখ।

বছরব্যাপী হাঁকডাক ও আলোড়ন তুলে এই পত্রিকাটির মাত্র চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়। তবে চারটি সংখ্যায় এটি সাপ্তাহিকের চরিত্র অনেকটা তুলে ধরতে সক্ষম হয়। বাজারের আর দশটা সাপ্তাহিকের মতো এতেও সমসাময়িক রাজনীতি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু, ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অসঙ্গতির প্রতিবাদে জোরালো লেখা স্থান পায়।

সার্বিক সক্ষমতা ও বিজ্ঞাপন সহযোগিতার অভাব, পত্রিকা কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, সাপ্তাহিকের মেজাজে দক্ষ কলাম লেখকের অভাব, পুরোদস্তুর সাংবাদিকতার টেকনিক আয়ত্তে না থাকা ইত্যাদির অভাবে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এসব অভাব ও দুর্বলতা নিয়ে একটা পত্রিকা কোনো রকম চালিয়ে নেওয়া গেলেও সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় না। তাই এটিরও উপর্যুক্ত অন্য পত্রিকাগুলোর ভাগ্য বরণ করতে হয়।

এই কারণগুলো শুধু জাগো প্রহরীর জন্য নয়, বন্ধ হয়ে যাওয়া সব পত্রিকার জন্যই প্রযোজ্য। একটি মিডিয়াকে টিকিয়ে রাখার কার্যকরী বটিকা হচ্ছে বিজ্ঞাপন কিংবা যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক ফান্ড। এসবের অভাবের কারণেই ইসলামপন্থীরা এখনো প্রভাবশালী কোনো মিডিয়ার মালিক হতে পারছে না।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম

[লেখা ও লেখকের কথা নিয়ে প্রকাশিত সাময়িকী ‘লেখকপত্র’ এর জানুয়ারি-মার্চ: ২০২০ সংখ্যার সৌজন্যে]

আরেএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ