শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


ঘুষ নেয়ার সময় সহকারী কর কমিশনার গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের এক পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছেন বগুড়া কর অঞ্চলের ১৫ সার্কেলের সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে।

আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক করদাতার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় দুদক কর্মকর্তারা তাকে একেবারে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ব্যবসায়ী ইউনুস আলী করদাতা। কর অঞ্চল বগুড়ার ১৫ সার্কেলে তার ফাইল আছে। তিনি ১৪/১৫ অর্থ বছরে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন। ১৮/১৯ অর্থ বছরে আয়কর ফাইল থেকে বিক্রি করা জমি বাদ দিতে তিনি সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে’র কাছে যান। কিন্তু তিনি গত ৬ মাস ধরে ফাইলটি আটকে রেখে টালবাহানা করতে থাকেন।

একপর্যায়ে এ কাজের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন অভিযিৎ। করদাতা ঝামেলা এড়াতে ২০ হাজার টাকা দিতে চাইলেও কর কর্মকর্তা রাজি হননি। বাধ্য হয়ে ইউনুস আলী বিষয়টি দুদক কর্মকর্তাদের জানান।

মনিরুজ্জামান আরও জানান, তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দুদক কর্মকর্তারা কর অফিসে ফাঁদ পাতেন। পরামর্শ অনুসারে ব্যবসায়ী ইউনুস আলী মঙ্গলবার সকালে দুদক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি বেলা পৌনে ১টার দিকে অভিজিতের কাছে ঘুষের টাকা দেন। এ সময় দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে দুদক কর্মকর্তারা তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও ড্রয়ার থেকে চিহ্নিত করা ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন। অভিজিৎ টাকার ব্যাপারে সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন। অভিযানে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ, সুদীপ কুমার চৌধুরীসহ আরও বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বগুড়া ট্যাক্সেস ল’ইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘কর অঞ্চল বগুড়ার ১৫ সার্কেলের সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে কয়েকবার ঘুষ দাবি করলে তাকে সতর্ক করা হলেও সংশোধন হননি। সংগঠনের পক্ষে রেজুলেশন করে কর কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছিল।’

কর অঞ্চল বগুড়ার সদর দফতর (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্যকে (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জানানো হয়েছে। শিগগিরই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-ওএএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ