শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


আবেগ অশ্রুতে আল্লামা আশরাফ আলীর স্মৃতিচারণ করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শাইখুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী রহ.-কে শেষবারের মতো দেখতে ও তার জানাজা নামাজে অংশ নিতে আজ কুমিল্লা ছুটে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। মরহুমের জানাজাপূর্ব এক বক্তব্যে তার সঙ্গে কাটানো অনেক মুহূর্ত ও স্মৃতি তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। আর তা করতে গিয়ে বারবার অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।

বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, আমি কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির জন্য সব ধরণের চেষ্টা করেছি। আমি এজন্য বুদ্ধি পরামর্শ নিতে আল্লামা আহমদ শফী ও আল্লামা আশরাফ আলী রহ. এর কাছে গিয়েছি। আল্লামা আশরাফ আলী রহ. আমাকে অনেক স্নেহ মায়া করতেন।

স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, একদিন হুজুর অসুস্থ ছিলেন। আমি দেখতে গিয়ে ওনাকে বললাম আপনার কাছে মাফ চাইতে আসছি, তিনি আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বললেন, আবদুল্লাহ মিয়া আপনি আওয়ামী লীগে থেকে ইসলামের যে খেদমত করেছেন আমরা এতে খুবই খুশি। আপনাদের কাজে আমরা আনন্দিত। আল্লাহ আপনার এ খেদমত জারি রাখুন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার সৌভাগ্য আমি তার সঙ্গে হজ করতে গিয়েছিলাম।তিনি আমাদের মাঝে সবচেয়ে আল্লাহওয়ালা ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও তাকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হুজুরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

‘আপনারা আমার জন্যও দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেনো আমাদেরকে ইসলাম ও মাদরাসার জন্য কাজ করার তাওফিক দান করেন।’ যোগ করেন শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, জামিয়া মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী আল্লামা আশরাফ আলী রহ.-এর জানাজা নামাজের ইমামতি করেন। এতে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম অংশ নেন। পরে তাকে কুমিল্লায় তাার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।

এর আগে আল্লামা আশরাফ আলী সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে তিনি রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মরহুম আল্লামা আশরাফ আলী রহ. কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ফলডার পাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  ২০১৩ সাল থেকে রাজধানীর জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসায় হাদিসের দরস দিচ্ছিলেন। প্রিন্সিপাল হিসেবে এই মাদরাসাটিকে সুনামের সাথেই পরিচালনা করে আসছিলেন।

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংস্থাটির কো-চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ