শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


যেভাবে আলোর পথে বিখ্যাত রাগবি খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ ।।

সকাল ছয়টা বাজে। লন্ডনের একটি হোটেলে বসে আছেন সনি বিল উইলিয়ামস। ফজরের নামাজের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি বললেন, “আমি যখন নামাজের জন্য হাত তুলি, তখন আমি বলি- আল্লাহ আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে রিজিক দান করুন, আমাকে আরও উত্তম ব্যক্তি হিসাবে গড়ে তুলুন!”

“আমি আমার দুর্বলতা জানি, আমাকে সাহস দিন। আমার পাপ ক্ষমা করুন! আয় আল্লাহ! আমার প্রিয়জন এবং আমার কাছের মানুষদের মঙ্গল করুন। তাদের সুরক্ষিত রাখুন, বিশেষত আমার বাচ্চাদের। আমরা আপনারই ইবাদত করি, আপনারই প্রশংসা করি।”

উইলিয়ামসের ইসলাম গ্রহণের ১০ বছর হয়ে গেছে। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সিডনির এক মসজিদে গিয়ে তিনি প্রভাবিত হন এবং এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তাকে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুসলিম মুখ বলা হয়। দেশটির ক্রীড়াজগতে তার বেশ প্রভাব রয়েছে।

সনি উইলিয়াম

৩৩ বছর বয়সী সনি বিল উইলিয়ামস হলেন নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত রাগবি খেলোয়াড় ও পেশাদার হেভিওয়েট মুষ্টিযোদ্ধা। তিনি দুইবার রাগবি বিশ্বকাপও জেতেন। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।তার প্রচেষ্টায় উইলিয়ামসের মা ‘লি উইলিয়ামস’ ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন,১০ বছর পূর্বে আমার জীবনে খ্যাতি ছিল, চাকচিক্য ছিল কিন্তু আমার অন্তরে ছিল হাহাকার। ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে আমি আমার জীবনের পূর্ণতা অনুভব করেছি। কিছু মানুষ মনে করে ইসলাম গ্রহণ করা লজ্জার বিষয় কিন্তু আমি গর্বিত, কারণ আমি আল্লাহকে পেয়েছি।

বিল উইলিয়ামস আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করার প্রতি গুরুত্বরোপ করে বলেন, এক গ্লাস পানি পান করলেও আল্লাহর প্রশংসা আদায় করতে হবে।বউ-বাচ্চাদের সাথে দেখা করেও আলহামদুল্লিাহ বলতে হবে। আমার প্রভু সবসময় আমার অন্তরে থাকবে।

[caption id="" align="aligncenter" width="624"]সনি বিল উইলিয়ামস, নিউজিল্যান্ড উইলিয়ামস গত মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করার পরে তার সহযোদ্ধা মুসলিম খেলোয়াড় উফা টঙ্গফাসির সাথে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।[/caption]

গত বছর বিখ্যাত এ রাগবি খেলোয়াড় ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব সফর করেছেন। পরে মদিনায় অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদে নববী পরিদর্শন করেছেন। পরে উমরাহ পালনের জন্য তিনি পবিত্র মক্কা নগরীতে যান।

পরে তিনি তার ইন্সটাগ্রামের পেজে লিখেন, ‘মদিনাতে নবীজীর পবিত্র মসজিদ পরিদর্শন সত্যিকার অর্থেই আশ্চর্য এক অনুভূতি।’

ওমরাহ পালন নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন,যখন আপনি ইহরাম পরিধান করছেন,“তখন কোনও অর্থনৈতিক পার্থক্য নেই, প্রতিটি ব্যক্তি সমান, যা সম্ভবত মানবতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

সূত্র-বিবিসি উর্দু, ডেইলি জং, মেইল অনলাইন

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ