মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ৯ রমজান ১৪৪৫


ইসলামি সংহতি মজবুত করুন: মিজানুর রহমান আজহারি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক

জননন্দিত ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, সকল প্রকার আঞ্চলিক ও দলীয় সংকীর্ণতা পরিহার করে ইসলামি সংহতি মজবুত করাটা ঈমানের দাবী ও সময়ের প্রয়োজন।

এ জন্য দরকার নির্ভেজাল তাওহিদে বিশ্বাস, বিদয়াত মুক্ত আমল ও আল্লাহমুখী অন্তর। রমজানের শাশ্বত পয়গাম অনুধাবন করলে আত্মশুদ্ধি অর্জন সম্ভব।

গত ১৯ মে দোহার বিন যাইদ সেন্টারে অনুষ্ঠিত বিশাল ইফতার ও ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তার আলোচনায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

মাহফিলটির আয়োজন করে চাঁদপুর সমিতি কাতার, সহযোগিতায় ছিল আলনূর কালচারাল সেন্টার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর সমিতির সভাপতি মানিক হোসেন আর প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর সমিতির প্রধান উপদেষ্টা জালাল আহমেদ সিআইপি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আলনূর কালচারাল সেন্টারের সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী সালাহউদ্দীন ও চাঁদপুর সমিতির উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইসমাইল মিয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন ক্বারি নূর মুহাম্মদ আর সঞ্চালনায় ছিলেন আলনূর কালচারাল সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর।

বক্তব্য রাখেন মাহফিলের আহবায়ক ও চাঁদপুর সমিতির সেক্রেটারি ওমর শরীফ টিটু ও প্রকৌশলী তানিম আহমেদ।

এ মাহফিলে উপস্থিত প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে মাওলানা মিজানুর রহমান আল আজহারি আরও বলেন, বিদেশের মাটিতে পরস্পর বিভেদ ও সংঘাত এড়িয়ে সহযোগিতা ও সহমর্মীতার পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং ‘আমরা বাংলাদেশি মুসলিম’ এ পরিচিতিকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা সকল প্রবাসীর দায়িত্ব। প্রবাস জীবনে ইহকালীন উন্নতির পাশাপাশি পরকালীন মুক্তির বিষয়টিও স্মরণ রাখা প্রকৃত বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।

দোয়ার গুরুত্ব বর্ণনা করে তিনি আগত রোজাদারদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। যে কোন সংকটময় মুহূর্তে শুধু আল্লাহকেই ডাকুন। খাজা বাবা ও অন্য কারো কাছে প্রার্থনা করে নিজের ঈমান নষ্ট করবেন না।

দোয়া কবুল হওয়ার সময় ও স্থান এবং শর্তসমূহের বিবরণ দিয়ে মাওলানা আজহারি আরো বলেন, মুমিনের হৃদয় উৎসারিত আহবান বিফলে যায় না।বিশ্বমুসলিমের কল্যাণ ও অমুসলিমদের হিদায়াত কামনায় সদা প্রার্থনা করুন ।

উল্লেখ্য, বিন যাইদ সেন্টারে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলটি অপ্রত্যাশিত জনসমুদ্রে রুপ নেয়। বাদ আসর অনুষ্ঠানটির নির্ধারিত সময় থাকলেও জোহরের পর থেকেই প্রবাসীদের আগমনে মুখর হয়ে উঠে বিন যাইদ সেন্টার।

কানায় কানায় ভরে যায় সুবিশাল মিলনায়তন, মহিলা গ্যালারি, দাওয়াতী হল ও পার্কিং এরিয়া। জনস্রোতের চাপে জায়গা না পেয়ে অনেকে চলে গেছেন ভারাক্রান্ত মন নিয়ে।

বিন যাইদ সেন্টারের ইতিহাসে এত বিশাল জনসমাবেশ আর ঘটেনি বলে জানান দাওয়াহ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শাইখ মহিউদ্দিন আল আরিফি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ