বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


নুসরাতের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদের কারণে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে নুসরাতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। ওই বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নুসরাতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নুসরাত।

সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নুসরাতের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ড. সামন্ত লাল সেনকে নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তার চিকিৎসার কাগজপত্র একই দিনে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় ঢামেক হাসপাতাল থেকে। পরে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

ভিডিও কনফারেন্স শেষে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য সেখানে পাঠানো যায় কিনা সে বিষয়ে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা তার শারীরিক অবস্থা দেখে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর জন্য না করেছে। তবে তারা কিছু সাজেশন দিয়েছেন।’

সাজেশন অনুযায়ী একই দিনে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই ছাত্রীর একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচার করা হলেও তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় ওই ছাত্রী। তার বান্ধবীকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে যায় ওই ছাত্রী।

সেখানে বোরকা পরা চার থেকে পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ফেনী থেকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

এদিকে ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৭ মার্চ মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ-দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। এই ঘটনায় তার মায়ের করা মামলায় অধ্যক্ষ এখন কারাগারে আছেন।

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ